মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়ার বিরুদ্ধে নতুন অভিযোগ তুলেছে। তারা বলছে, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে হামলা শুরুর আগে ইউক্রেনের স্যাটেলাইট নেটওয়ার্কে সাইবার হামলা চালিয়েছিল রাশিয়া। হামলা যাতে সহজ এবং আক্রমণের পথ প্রশস্ত হয় সেজন্যই এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল। টিআরটি ওয়ার্ল্ড।
তারা বলছে, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে হামলা শুরুর আগে ইউক্রেনের স্যাটেলাইট নেটওয়ার্কে সাইবার হামলা চালিয়েছিল রাশিয়া
এদিকে ব্রিটিশ পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে, ব্রিটিশ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইইউ সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা নতুন বুদ্ধিমত্তা মূল্যায়নের জন্য বৈঠক করেছেন। যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ট্রাস বলেছেন, ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার ইচ্ছাকৃত এবং বিদ্বেষপূর্ণ বিষয়টি স্পষ্ট।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনও বলেছেন, ইউক্রেনের কমান্ড এবং নিয়ন্ত্রণকে ব্যাহত করতে বাণিজ্যিক স্যাটেলাইট যোগাযোগ নেটওয়ার্কে ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে সাইবার হামলা চালায় রাশিয়া। এরপরই রুশ বাহিনী সরাসরি ইউক্রেনে হামলে পড়ে।
ব্লিঙ্কেন বলেন, রাশিয়ার এসব পদক্ষেপের প্রভাব অন্যান্য ইউরোপীয় দেশেও ছড়িয়ে পড়েছিল। যার ফলে প্রাথমিকভাবে রাশিয়ান বাহিনী নির্দ্বিধায় হামলা চালাতে সক্ষম হয়।
রাশিয়া ও ইউক্রেন সফরের পর এবার ইউরোপের দরিদ্রতম দেশ মলদোভায় সফর করেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তেনিও গুতেরেস। দেশটি ইউক্রেন যুদ্ধের পর থেকে শরণার্থী সংকটে জর্জরিত। সাড়ে ৪ লাখ ইউক্রেনীয় নাগরিক মলদোভায় অবস্থান করছেন। গুতেরেস তার সফরে ইউক্রেনের শরণার্থীদের সাথে দেখাও করেছেন।
গুতেরেস মলদোভার রাজধানী চিসিনাউতে শরণার্থী কেন্দ্রের বাইরে সাংবাদিকদের বলেছেন, শরণার্থীরা করুণ অবস্থার মধ্যে রয়েছে। তাদের একেকজনের গল্প আরো করুণ। এক দম্পতি আমাকে জানিয়েছে, তাদের বাড়ির উঠানে বোমা পড়েছিল। পরিবারের সহায়-সম্পদ সবকিছু পরিত্যাগ করে তারা এখন উদ্বাস্তু।
গুতেরেস মলদোভা সফরের সময় দেশটির নেতাদের সাথে দেখা করেন। ছোট দেশটির জনসংখ্যা প্রায় ২৬ লাখ। নিজস্ব জনসংখ্যার অনুপাতে সবচেয়ে বেশি শরণার্থী আশ্রয় দিয়েছে মলদোভা।
সবশেষ পাওয়া তথ্য মতে, ইউক্রেন থেকে দেশটিতে ৪ লাখ ৫০ হাজারের বেশি শরণার্থী আশ্রয় নিয়েছে।