মহাকাশযান নির্মাতা প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্স ও বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান টেসলার প্রধান নির্বাহী ইলন মাস্কের স্যাটেলাইট ইন্টারনেট সেবা স্টারলিংক চালু হতে যাচ্ছে বাংলাদেশেও। ২০২৩ সাল নাগাদ স্টারলিংকের স্যাটেলাইট ইন্টারনেট বাংলাদেশ চালু হতে পারে। ইতোমধ্যেই স্টারলিংক তাদের ওয়েবসাইটে বাংলাদেশ থেকে প্রি-অর্ডার গ্রহণ করছে। তবে অনুমোদন না নিয়ে এমন উদ্যোগে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
স্টারলিংকের পক্ষ থেকে টুইটারে একটি ম্যাপ শেয়ার করা হয়। সেখানে দেখা যাচ্ছে, ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকার বেশিরভাগ দেশ এই সেবার আওতায় আসতে যাচ্ছে। ম্যাপে আফ্রিকা ও এশিয়া মহাদেশসহ বিশ্বের বাকি দেশগুলোকে চিহ্নিত করা হয়েছে ওয়েটলিস্ট তথা ‘শিগগির আসছে’ চিহ্ন দিয়ে। দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে- ব্রাজিল, সৌদি আরব, পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশ।
ম্যাপে চিহ্নিত দেশগুলো অবিলম্বে ইনস্টলেশন প্যাকেজ পাবে। বাংলাদেশ থেকে প্রি-অর্ডার সেবা পেতে স্টারলিংকের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করলে ৯৯ ডলার ফি প্রদানের একটি নির্দেশনা আসে। সেখানে বলা হয়েছে, স্টারলিংক ২০২৩ সালে এই এলাকায় তাদের সেবা প্রসারিত করার আশা করছে।
এদিকে, বাংলাদেশ সরকার ও বিটিআরসির অনুমোদন ছাড়া স্টারলিংক তাদের ইন্টারনেট সেবা দেওয়ার ঘোষণা কীভাবে দেয়, তা নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
মন্ত্রী বলেন, সরকারের অনুমতি ছাড়া ইলন মাস্ক বাংলাদেশে ইন্টারনেট সেবা চালু করতে পারেন না। স্যাটেলাইট দিয়ে আমার দেশে ইন্টারনেট সেবা দিতে পারবে কি না, এমন আবেদন আগে জমা দিতে হবে। তারপর দেশের সম্মতির ওপর নির্ভর করবে প্রি-বুকিং।
বাংলাদেশ থেকে কেউ যদি স্টারলিংকে প্রি-অর্ডার দিতে চায় সে বিষয়ে করণীয় সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, দেশে কেউ স্যাটেলাইট সেবা চালু করতে চাইলে সরকারের কাছ থেকে তাকে ল্যান্ডিং পারমিশন নিতে হবে। তারপর গ্রাহক পর্যায়ে সেবা দিতে গেলে বিটিআরসির অনুমোদন লাগবে।
বাংলাদেশ সরকার এবং বিটিআরসি এখনো কাউকে স্যাটেলাইট ইন্টারনেট সেবা দেওয়ার জন্য অনুমোদন দেয়নি জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠান তাদের ক্ষেত্র অনুযায়ী সারা বিশ্বে স্যাটেলাইট দিতে পারে, কিন্তু আমার দেশে দিতে পারবে কি না, সেটা দেখার ক্ষমতা আমার দেশের সরকারের।