বর্তমান সময়টাকে স্মার্টফোনের যুগ বললে খুব একটা ভুল বলা হবে না! সবার হাতেই চলে এসেছে স্মার্টফোন। এমন অবস্থায় যে জিনিসটি ছাড়া স্মার্টফোনের কথা ভাবাই যায় না, তা হলো নেটওয়ার্ক বা কানেক্টিভিটি। বর্তমানে কমবেশি সবার হাতেই ফোরজি ফোন দেখা যায়। এর জনপ্রিয়তাও ফুরিয়ে আসছে। কারণ বিশ্ব এগিয়ে যাচ্ছে ফাইভজি নেটওয়ার্কের দিকে।
বিশ্বের অনেক দেশে ফাইভজি চালু হয়ে গেছে। যারা এখনো চালু করতে পারেনি তাদের চলছে প্রস্তুতি। যে কারণে ফোরজি ফোনের জনপ্রিয়তায় ভাটার টান লেগেছে। বাড়ছে ফাইভজি ফোনের কদর।
একটা প্রশ্ন উঠতেই পারে, আর সেটি হচ্ছে- ফোরজি স্মার্টফোন থেকে ফাইভজি স্মার্টফোন কেনো আলাদা? এর কারণ কি শুধুই কানেক্টিভিটি? উত্তর হতে পারে এমন- ফাইভজি নেটওয়ার্ক সেকেন্ডে ১০০ মেগাবাইট থেকে ৪০০ মেগাবাইট পর্যন্ত ডাউনলোড স্পিড সরবরাহ করে। অন্যদিকে, ফোরজি সেকেন্ডে ১০ মেগাবাইট থেকে ৫০ মেগাবাইট পর্যন্ত ডাউনলোড স্পিড সরবরাহ করতে পারে।
ফলে, ৫জি স্মার্টফোন ব্যবহারকারীরা রকেটের গতির ডাউনলোড স্পিড পাবেন। বলা হচ্ছে, নিমিষেই পুরো মুভি ডাউনলোড হবে। কোনো বাফারিং ছাড়াই ৫জি স্মার্টফোন, ট্যাবলেট দিয়ে ৪কে ও ৮কে ভিডিও দেখা যাবে।
ফোরজির তুলনায় ফাইভজির সক্ষমতা অনেক বেশি হওয়ায় ১০০ গুণ বেশি ট্র্যাফিক সাপোর্ট করতে পারে। তার মানে হচ্ছে ফাইভজি নেটওয়ার্ক ব্যবহার করলে আরও অনেক বেশি মানুষ এবং ডিভাইসকে একসাথে কানেক্ট করা যাবে।
সুতরাং ফাইভজি কানেক্টিভিটিযুক্ত স্মার্টফোন আগের সকল ফোনের তুলনায় পারফরম্যান্সে এগিয়ে থাকবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। পাশাপাশি বাজারে আসা ফাইভজি ফোনগুলোতে ব্যবহার করা হচ্ছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির প্রসেসর, ক্যামেরা।