ডিজিটাল ডিভাইসকে ভবিষ্যতে দেশের রফতানি আয়ের প্রধান উৎস হিসেবে গড়ে তুলতে সরকার কাজ করছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি ডিজিটাল ডিভাইস ভবিষ্যতে সবচেয়ে রফতানিযোগ্য পণ্য হতে পারে। আমাদের বিভিন্ন পদক্ষেপ নিতে হবে এবং সেই অনুযায়ী কাজ করতে হবে।’
বুধবার বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের বোর্ড অব গভর্নরসের দ্বিতীয় সভায় বক্তব্য দেয়ার সময় এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আইসিটি বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে যোগ দেন।
তিনি বলেন, সরকার চায় গার্মেন্টস পণ্যের মতো ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ ট্যাগযুক্ত ডিজিটাল ডিভাইস সারা বিশ্বে রফতানি হোক।
তিনি বলেন, ২০১৫ সালে অনুষ্ঠিত ডিজিটাল বাংলাদেশ টাস্কফোর্সের সভায় রফতানি পণ্যে বৈচিত্র্য আনতে ডিজিটাল পণ্য উৎপাদনের ওপর গুরুত্ব দেয়া হয়েছিল। এর লক্ষ্য একক রফতানি পণ্যের ওপর দেশের নির্ভরতা কমানো।
শেখ হাসিনা বলেন, দেশকে এগিয়ে নিতে তার সরকার শিক্ষা ও সর্বাধুনিক প্রযুক্তির সম্প্রসারণে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা ডিজিটাল অর্থনীতির বিকাশের জন্য হাই-টেক পার্ক স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের পরামর্শ অনুযায়ী এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
তিনি বলেন, সরকার প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি করে ২০২৫ সালের মধ্যে আইসিটি খাত থেকে রফতানি আয় পাঁচ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং এ খাতে ৩০ লাখ কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে কাজ করছে। ‘আশা করি আমরা এটি করতে সক্ষম হব (দুটি লক্ষ্য পূরণ করতে)।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সারাদেশে ৯২টি হাইটেক পার্ক বা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক বা আইটি ট্রেনিং এন্ড ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপন করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে নয়টি পার্ক স্থাপনের কাজ সমাপ্ত হয়েছে। এখানে হার্ডওয়্যার-সফটওয়্যার নিয়ে কাজ করার জন্য ইতোমধ্যে ট্যাক্স মওকুফ, কাস্টম ডিউটি মওকুফসহ ১৪টি প্রণোদনা সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। হাইটেক পার্কসমূহে বেসরকারি উদ্যোগে ২০২১ সাল নাগাদ ৫৭০ কোটি টাকা বিনিয়োগ হয়েছে। ২০২৫ সালের মধ্যে প্রতিষ্ঠানগুলোতে প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ হবে বলে আমি আশা করি।
গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়, আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এবং প্রধানমন্ত্রীর সিনিয়র সচিব মো. তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া উপস্থিত ছিলেন এবং শিক্ষামন্ত্রী ড. দীপু মনি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারসহ বাংলাদেশ হাইটেক পার্কের অন্যান্য বোর্ড অব গভর্ন্যান্স সদস্যরা আইসিটি বিভাগে উপস্থিত ছিলেন।