বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে থাকা ডাটা সেন্টারগুলোর বিদ্যুৎ ব্যবহারের পাশাপাশি পরিবেশের ওপর নেতিবাচক প্রভাব কমাতে ও কর্মক্ষমতা বাড়াতে নতুন কুলিং প্রযুক্তি ব্যবহারের উদ্যোগ নিয়েছে ইন্টেল। খবর গিজচায়না।
গ্রিন রেভল্যুশন কুলিং করপোরেশনের (জিআরসি) সঙ্গে যৌথভাবে লিকুইড ইমারশন কুলিং নামে ইন্টেল একটি শ্বেতপত্র স্বাক্ষর করেছে। ডাটা সেন্টার এয়ার কুলিং প্রযুক্তির পরিবর্তে লিকুইড কুলিং প্রযুক্তি ব্যবহারের অংশ হিসেবেই এ উদ্যোগ। জানুয়ারির দিকে প্রতিষ্ঠান দুটি পরিবেশের ওপর ডিজিটাল অবকাঠামোর ক্ষতিকর প্রভাব কমাতে কয়েক বছরের জন্য একটি প্রকল্প বাস্তবায়নের ঘোষণা দেয়।
জিআরসি মূলত লিকুইড কুলিং প্রযুক্তি পরিচালনায় সিদ্ধহস্ত প্রতিষ্ঠান। অন্যদিকে মে মাসে যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তি জায়ান্টটি জানিয়েছিল, তারা লিকুইড ইমারশন কুলিং প্রযুক্তিসংক্রান্ত গবেষণা ও পরীক্ষা চালানোর জন্য নিজস্ব ল্যাবরেটরি স্থাপন করেছে। ডাটা সেন্টারগুলো বিশ্বের মোট বিদ্যুতের ১ দশমিক ৫ থেকে ২ শতাংশ ব্যবহার করে। যদি এখনই নিয়ন্ত্রণ না করা হয়, তাহলে এক দশকে এর হার ১৩ শতাংশ ছাড়িয়ে যাবে।
মূলত ডিজিটাল খাতে ৪০ শতাংশ বিদ্যুৎ ব্যবহারের পেছনে কম্পিউটিংয়ের সম্পৃক্ততা খুবই কম। ডাটা সেন্টার ও কম্পিউটার সার্ভারের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণেই বেশি বিদ্যুৎ ব্যয় হয়। প্রসেসরের শক্তি দিন দিন বাড়তে থাকায় এয়ার কুলিং প্রযুক্তির মাধ্যমে আর সার্ভারকে সহায়তা দেয়া যাচ্ছে না। কেননা তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে কুলিং ফ্যানেরও সীমাবদ্ধতা রয়েছে।
ইন্টেল ও জিআরসির তথ্যানুযায়ী, বর্তমানে বিশ্বের অনেক ডাটা সেন্টারের পরিচালকরা এ বিষয়ে অবগত। যে কারণে তিন-চতুর্থাংশ প্রতিষ্ঠান টেকসইয়ের বিষয়টিকে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার হাতিয়ার হিসেবে দেখছে।