শিক্ষার্থীদের নিয়ে দেশের সবচেয়ে বড় প্রতিযোগিতা আইসিটি অলিম্পিয়াড বাংলাদেশের রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম শুরু হয়েছে। রাজধানীর কেআইবি কনভেনশনহলে এই কার্যক্রমের উদ্বোধন হয়। আইসিটি অলিম্পিয়াড বাংলাদেশের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটের শুভ সূচনা ঘোষণা করেন জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক ও সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মর্তুজা।
এক ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেখানো পথ ধরে তাঁর সুযোগ্য কন্যা দেশরত্নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে ডিজিটাল রূপান্তরিত করছেন। তরুণদের মাঝে বিশ্বমানের আইটিজ্ঞান ছড়িয়ে দিতে আইসিটি অলিম্পিয়াড বাংলাদেশ অনেকতার প্রয়াস রাখবে বলে আমি আশাবাদী। এসময় অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন দেশের আইসিটি, শিক্ষা ও গবেষণা সেক্টরের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন ই-ক্যাবের সভাপতি শমী কায়সার, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান, এটুআইয়ের প্রকল্প পরিচালক ড. দেওয়ান মো. হুমায়ূন কবির, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন ড. সাজ্জাদ হোসেন, উইয়ের প্রেসিডেন্ট নাসিমা আক্তার নিশা, বিসিএস সভাপতি সুব্রত সরকার প্রমুখ। এছাড়াও সারা দেশ থেকে প্রায় ১৫‘শ শিক্ষার্থী এই আয়োজনে অংশগ্রহণ করে।
ক্রিয়েটিভ আইটি ইনস্টিটিউট ও হুইসেলের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এই প্রতিযোগিতার নলেজ পার্টনার হিসেবে সংযুক্ত রয়েছে ই-লার্নিং প্রতিষ্ঠান ব্রাইট স্কিলস। স্কুল থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা মোট ছয়টি ক্যাটাগরিতে অংশ নিতে পারবেন। প্রতিযোগীদের জন্য সর্বমোট প্রাইজমানি থাকছে ৫০লাখ টাকা। প্রতিযোগিতায় রেজিস্ট্রেশনের পর থেকে পাঁচ মাস শিক্ষার্থীরা মেন্টরদের মাধ্যমে নিজেদের আইসিটি জ্ঞানকে প্রসারিত করার সুযোগ পাবে। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের শিক্ষার্থীরা যাতে অংশগ্রহণ করতে পারে সেই লক্ষ্যে সারাদেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে থাকছে আইসিটি অলিম্পিয়াড বাংলাদেশের বুথ।
গভর্নিং বডির সদস্য ও তথ্য প্রযুক্তিবিদ মোহাম্মদ শাহরিয়ার খান বলেন, চতুর্থ শিল্পবিপ্লবে আমাদের শিক্ষার্থীদের সময়োপযোগী করার জন্য এই প্রতিযোগিতাটি মাইলক ফলক হয়ে থাকবে। আইসিটি খাতে বিশ্বমানের জ্ঞানার্জনের মাধ্যমে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা যাতে এগিয়ে থাকে সে উদ্দেশ্যকে সামনে রেখেই এই আয়োজন।
আর একজন সদস্য আরেফিন দিপু বলেন, চলতি বছরের শুরুতেই শিক্ষামন্ত্রী ডা. দিপু মনি এই আইসিটি অলিম্পিয়াড বাংলাদেশের শুভসূচনা করে। তারপর থেকেই সারা দেশে শিক্ষার্থীদের মধ্যে আইসিটি বিষয়ে মেন্টরিং কার্যক্রম চলত। এবার রেজিস্টেশন প্রক্রিয়া শুরুর মাধ্যমে এই কার্যক্রমের পূর্ণতা পেল। গভর্নিং বডির সদস্য ও ক্রিয়েটিভ আইটি ইনস্টিটিউটের সিইও মনির হোসেন বলেন, প্রি-স্কুল থেকে বিশ্ববিদ্যালয় সর্বত্র আইসিটি শিক্ষাকে জনপ্রিয় করতেই আমাদের এই আয়োজন। শুধু শিক্ষার্থী নয়, অভিভাবকও এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে আইসিটি শিক্ষাকে ভালোবাসুক। এই শিক্ষা তার সন্তানদের সঙ্গে সঙ্গে সমাজেও ছড়িয়ে দিক। www.ictolympiadbangladesh.com-এই সাইটটির মাধ্যমে ক্যাটাগরি অনুসারে রেজিস্টেশন করতে পারবে সকল শিক্ষার্থী।