চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে ইন্টেলের আয় হয়েছে ১ হাজার ৫৩০ কোটি ডলার। গত বছরের একই সময়ের ১ হাজার ৯৬০ কোটি ডলারের চেয়ে যা ২২ শতাংশ কম। ২ জুলাই শেষ হওয়া প্রান্তিকে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক কোম্পানিটি ৪৫ কোটি ৪০ লাখ ডলার নিট লোকসান গুনেছে।
গত বছর যেখানে কোম্পানিটির নিট মুনাফা হয়েছিল ৫০০ কোটি ডলার। ১৯৯৯ সালের পর সবচেয়ে বাজে প্রান্তিক পার করল মার্কিন প্রযুক্তি জায়ান্টটি। ইন্টেলের আয়-ব্যয়ের আর্থিক প্রতিবেদনের বরাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে সিএনবিসি।
সম্প্রতি প্রকাশিত আয়-ব্যয়ের উপাত্তে দেখা গেছে, দ্বিতীয় প্রান্তিকে ক্লায়েন্ট কম্পিউটিং গ্রুপ বা সিসিজি থেকে ইন্টেলের আয় হয়েছে ৭৭০ কোটি ডলার। গত বছরের একই প্রান্তিকের তুলনায় তা ২৫ শতাংশ কমেছে। ডাটা সেন্টার ও এআই গ্রুপ বা ডিসিএআই থেকে আয় ১৬ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৪৬০ কোটি ডলার। এছাড়া ইন্টেল ফাউন্ড্রি সার্ভিসেস বা আইএফএস থেকে আয় ৫৪ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১২ কোটি ২০ লাখ ডলার।
বিবৃতিতে ইন্টেলের প্রধান নির্বাহী প্যাট জেলসিংগার বলেন, গেল প্রান্তিকের আয় আমাদের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অনেক নিচে। আমাদের অবশ্যই আগামী দিনগুলোয় ভালো করতে হবে।
এপ্রিল-জুন প্রান্তিকে আয় কমার ফলে পুরো বছরের আয়ের প্রত্যাশা কমিয়েছে ইন্টেল। ২০২২ সালে ৬ হাজার ৫০০ কোটি ডলার আয়ের পূর্বাভাস ইন্টেলের। এর আগে ৬ হাজার ৮০০ কোটি ডলার আয়ের পূর্বাভাস ছিল প্রতিষ্ঠানটির।
বিশ্বব্যাপী মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধি, স্কুল-কলেজ ও অফিস আদালত চালু হওয়ায় মানুষ এখন আগের তুলনায় কম্পিউটারে কম সময় ব্যয় করছে। কভিড-১৯ মহামারীর লকডাউনের সময় ঘরে থেকে কাজ ও ক্লাসের জন্য কম্পিউটার কেনা বেড়েছিল। চীনে করোনার বিধিনিষেধ ও ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে চিপের সরবরাহ চেইন সংকট বেসামাল আকার ধারণ করেছে। আইটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান গার্টনার জানায়, চলতি বছরে বৈশ্বিক পিসি বিক্রি ৯ দশমিক ৫ শতাংশ কমার আশঙ্কা রয়েছে।