হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের জন্য নতুন ফিচারের ঘোষণা দিয়েছেন মেটা কাণ্ডারী মার্ক জাকারবার্গ। এ মাসেই বিশ্ববাজারের ব্যবহারকারীদের পৌঁছাবে ফিচারটি, প্রথমে চালু হবে যুক্তরাজ্যের বাজারে।
নতুন ফিচারের অংশ হিসেবে নিঃশব্দে ‘গ্রুপ চ্যাট’ থেকে বেরিয়ে যেতে পারবেন ব্যবহারকারী। এ ছাড়াও, একবার দেখার জন্য পাঠানো মেসেজের স্ক্রিনশট নেওয়ার সুযোগ ব্লক করে দিতে পারবেন ব্যবহারকারী। ব্যবহারকারীর অনলাইন উপস্থিতি সম্পর্কে কাদের জানা থাকবে, সেটিও নির্ধারণ করে দেওয়ার সুযোগ থাকবে।
জাকারবার্গ দাবি করেছেন, হোয়াটসঅ্যাপের মেসেজিং সেবাকে ‘সম্মুখ আলাপের মতোই নিরাপদ এবং গোপন রাখতে’ সহযোগিতা করবে নতুন ফিচারগুলো।
বর্তমানে গ্রুপ মেসেজ থেকে কেউ বের হয়ে গেলে বা কাউকে বের করে দেওয়া হলে অংশগ্রহণকারীদের সবাইকে নোটিশ পাঠিয়ে জানান দেয় জনপ্রিয় মেসেজিং সেবাটি।
বিবিসি বলছে, গ্রুপ মেসেজ থেকে বের হয়ে যাওয়ার সময় ব্যবহারকারীরা হরহামেশা যে বিড়ম্বনার মুখে পড়েন, সেই পরিস্থিতি অনেকটাই এড়ানো যাবে নতুন ফিচারের সুবাদে। বিশেষ করে বন্ধুদের গ্রুপ মেসেজ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় ঝগড়া-বিবাদ বা ভুল বোঝাবুঝি সৃষ্টি হওয়ার ঘটনাও এড়ানো যাবে এর মাধ্যমে।
নতুন ফিচারগুলো চালু হলে ব্যবহারহারকারী গ্রুপ চ্যাট থেকে বের হওয়ার সময় অ্যাডমিন ছাড়া আর কেউই বিষয়টি জানতে পারবেন না।
এ প্রসঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপের পণ্য প্রধান আমি ভোরা বলেন, প্ল্যাটফর্মের ‘ব্যবহারকারীদের নিজস্ব মেসেজ ও প্রিভেসির ওপর আরও বেশি নিয়ন্ত্রণ দিতে সক্ষম নতুন পণ্য ফিচার নির্মাণে’ চলমান গুরুত্বের অংশ সাম্প্রতিক ফিচারগুলো।
“আমরা মনে করি, ব্যক্তিগত আলাপের জন্য সবচেয়ে নিরাপদ প্ল্যাটফর্ম হচ্ছে হোয়াটসঅ্যাপ। বিশ্বের আর কোনো মেসেজিং সেবা এত বড় পরিসরে এই পর্যায়ের নিরাপত্তা দেয় না ব্যবহারকারীদের,”– যোগ করেন তিনি।
এ ছাড়াও, ব্যবহারকারী নিজের অনলাইন উপস্থিতি গোপন রাখার সুযোগ পাবেন নতুন ফিচারে।
এ প্রসঙ্গে ‘দ্য অ্যালান টিউরিং ইনস্টিটিউট’-এর গবেষক জেনিস ওং বিবিসিকে বলেন, “ব্যবহারকারীদের হাতে আরও বেশি নিয়ন্ত্রণ দেওয়া সবসময়েই ইতিবাচক- নিজের হাতে নিয়ন্ত্রণ থাকা ব্যবহারকারীদের পছন্দ এবং তাদের প্রয়োজন।”
তবে, এ ক্ষেত্রে ব্যবহারকারীদের নিজের হাতে থাকা ক্ষমতা সম্পর্কে জানা থাকতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন ওং।
“ফিচারগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে চালু না থাকলে বা ব্যবহারকারীকে সে প্রসঙ্গে না জানানো হলে ফিচারগুলো তেমন কোনো কাজে আসে না,” মন্তব্য করেছেন তিনি।
অন্যদিকে, পাঠানো মেসেজ মুছে দেওয়ার সময় সীমাও বাড়াতে নতুন ফিচার চালু করেছে হোয়াটসঅ্যাপ কর্তৃপক্ষ। ব্যবহারকারীরা এখন ‘সেন্ড’ বাটন চাপার পরে বিব্রতকর বা ভুল মেসেজ মুছে দেওয়ার জন্য দুই দিন সময় পাবেন বলে ৯ অগাস্টেই টুইট করেছে প্ল্যাটফর্মটি।
তবে এই ফিচারটি কাজ করার জন্য ডিভাইসে হোয়াটসঅ্যাপের সর্বশেষ সংস্করণটি ইনস্টলড থাকার বাধ্যবাধকতার কথা জানিয়েছে প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট ভার্জ।
প্রেরক মেসেজ মুছে দিতে চাইলেও প্রাপকের ডিভাইসে যদি হোয়াটসঅ্যাপের সর্বশেষ সংস্করণটি ইনস্টল করা না থাকে তবে কাজ করবে না ফিচারটি; মেসেজ মুছে দেওয়া হয়েছে সেই নোটিফিকেশন আসবে না প্রেরকের কাছে।