তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, ডিজিটাল বিপ্লবে বাংলাদেশ অনেক এগিয়ে। বাংলাদেশ বিশ্বের দ্রুতগতির ইন্টারনেটের যুগে প্রবেশ করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রূপকল্প ২০২১ বাস্তবায়নে চারটি মূল লক্ষ্য নির্ধারণ করে এগিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ডিজিটাল বাংলাদেশের সেই চারটি স্তম্ভ হলো মানবসম্পদ উন্নয়ন, ইন্টারনেটের সংযোগ দেওয়া, ই-গভর্নেন্স এবং তথ্যপ্রযুক্তি শিল্প খাত গড়ে তোলা।
গতকাল সোমবার বাহরাইনের রাজধানী মানামায় অনুষ্ঠিত ‘গ্লোবাল এন্ট্রাপ্রেনিউরশিপ কংগ্রেস বাহরাইন ২০১৯’ সম্মেলনের স্টার্টআপ নেশন মিনিস্ট্রিয়াল শীর্ষক অধিবেশনে জুনাইদ আহমেদ পলক এ কথা বলেন।
নীতিমালাবিষয়ক আলোচনায় অংশ নিয়ে প্রতিমন্ত্রী উদ্ভাবন পরিকল্পনা, উদ্যোক্তা একাডেমি প্রতিষ্ঠা, হাইটেক পার্ক প্রকল্প ও ইনোভেশন সেন্টার প্রকল্প স্থাপন, আইটি প্রশিক্ষণ ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি, তরুণ প্রজন্মের সক্ষমতা অর্জন এবং তথ্যপ্রযুক্তি উন্নয়ন ও বিকাশে বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন কর্মপরিকল্পনা তুলে ধরেন।
Eprothom Aloসেশনে প্রতিমন্ত্রী বলেন, তথ্যপ্রযুক্তির কোনো ভৌগোলিক সীমারেখা নেই। আগামী দিনের পরিবর্তিত ও আধুনিক প্রযুক্তির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে চলতে হলে উন্নত ও অনুন্নত দেশগুলোকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে।
জুনাইদ আহমেদ বলেন, সবাইকে ইন্টারনেট সংযোগের আওতায় নিয়ে আসতে বিগত ১০ বছরে সরকার অনেক উদ্যোগ বাস্তবায়ন করেছে। বিগত তিন বছরে সব সরকারি অফিসকে ইন্ট্রা-নেটওয়ার্কের আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে এবং বর্তমানে ইনফো সরকার-৩ ও কানেকটেড বাংলাদেশ প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে সারা দেশকে ইন্টারনেট সংযোগের আওতায় নিয়ে আসতে কাজ করা হচ্ছে। থ্রি এ স্ট্র্যাটেজি রয়েছে ইন্টারনেটের জন্য। ২০৩০ সালের মধ্যে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে নারীর ৫০ শতাংশ অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে সরকারের ওয়াইফাই (উইমেন আইসিটি ফ্রন্ট্রিয়ার ইনিশিয়েটিভ) প্রকল্প চালু রয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, ইতালি, মালয়েশিয়া, মালদ্বীপ, নেপাল, সুদান, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন, আর্জেন্টিনা, বেনিন, ব্রাজিল, কলম্বিয়া, কঙ্গো প্রজাতন্ত্র, এস্তোনিয়া, হাঙ্গেরিসহ বিভিন্ন দেশের মন্ত্রী, উচ্চপর্যায়ের সরকারি ও বেসরকারি প্রতিনিধিরা সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন।