গ্রাহকদের অর্থ বন্ধক রেখে নেওয়া ঋণ অনাদায়ে ৩১৭ কোটি টাকার ঘাটতি তৈরি করে বাংলাদেশ ব্যাংক ও ডাক বিভাগের সঙ্গে জটিলতায় জড়িয়েছে নগদ।
দেশের বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের “নগদ নিয়ে সংকটে ডাক বিভাগ, ঝুঁকিতে গ্রাহকের টাকা” এই শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের পর থেকে আতঙ্ক বিরাজ করছে নগদ ব্যবহারকারীদের মধ্যে। অনেকেই বলছেন, নগদে আর অর্থ রাখা যাবে না। রাখলে ঝুঁকির মধ্যে পড়তে হবে। রবিবার বিকাল থেকে নগদ থেকে নিজের টাকা তুলে নিতে ভিড় করছে নগদের বিভিন্ন এজেন্ট পয়েন্টে ।
প্রকাশিত সংবাদে বলা হয়েছে, নগদের কারিগরি সহযোগী থার্ড ওয়েভ টেকনোলজিস এক্সিম ব্যাংক থেকে নেওয়া ৩১৭ কোটি টাকার বকেয়া ঋণের চাপে এখন হিমশিম খাচ্ছে ডাক বিভাগ। নগদের অ্যাকাউন্টের ঘাটতি পূরণে চলতি বছরের সেপ্টেম্বরের মধ্যে ডাক বিভাগকে ঋণ পরিশোধের নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
রাজধানী ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে খোজ নিয়ে জানা যায় হঠ্যৎ নগদ ব্যবহারকারীদের মধ্যে টাকা ক্যাশ আউট করতে বেশি চাপ হওয়ায় এজেন্ট পয়েন্টেগুলাে থেকে গ্রহকদের টাকা দিতে বেশ বিপাকে পারছে এজেন্টরা।
রাজধানীর মিরপুরের বাসিন্দা ফয়সাল হোসেন জানান, নগদ আমাদের সরকারি প্রতিষ্ঠান জেনে ব্যবহার করতাম কিন্তু এখন শুতেছি এটা বেসরকারি প্রতিষ্ঠান । তাদের কাছে নাকি কোন টাকা নেই তাহলে গ্রহকের টাকা কিভাবে দেবে । আমার একাউন্টে কিছু টাকা আছি আমি সেটা ক্যাশ আউট করে নিয়েছি ।
খুলনার দৌলতপুর থেকে আফরোজা নিলা জানান, আমার কিছু জমানো টাকা ছিলো, বের করে ফেলছি, এখন নিশ্চিত ।
ই কমার্স উদ্যোক্তা নাজির উদ্দিন জানান, নগদে লেনদেন করার আগে এখন থেকে ৩ বার ভাবতে হবে। আমার নগদ হিসেবে কোন টাকা নেই। এই যাত্রায় যত সাবধানে থাকা যায়।
নগদ একাউন্ট থেকে উপবৃত্তির টাকা উধাও
নগদের ঝুঁকিপূর্ণ কার্যক্রম সত্ত্বেও কেন্দ্রীয় ব্যাংক তাদের অনুরোধ বিবেচনা করে গ্রাহকদের স্বার্থে অন্তর্বর্তীকালীন লাইসেন্সের মেয়াদ বাড়িয়েছে । তবে জনগণের অর্থের ঘাটতি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশ ব্যাংক নগদের নতুন মার্চেন্ট অধিগ্রহণ কার্যক্রম স্থগিত রেখেছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে, জনসাধারণের অর্থের ঘাটতি পূরণের পরিবর্তে নগদ এক্সিম ব্যাংকের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের বিরুদ্ধে একটি রিট আবেদন করে।