করোনার ঘরবন্দি সময়টাতে মানুষ অভ্যস্ত হয়ে পড়েছিল প্রযুক্তির উপর। সোশ্যাল মিডিয়া, অনলাইন গেমের জনপ্রিয়তা সে সময়ে বেড়েছে কয়েকগুণ। তবে জীবন স্বাভাবিক হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মানুষের ব্যস্ততাও বেড়েছে, অন্যদিকে কমেছে অনলাইন গেমের গ্রাহক। এজন্য অনেক কোম্পানি তাদের গেম অ্যাপ বন্ধ করে দিচ্ছে।
সম্প্রতি ফেসবুকও তাদের জনপ্রিয় গেম অ্যাপ বন্ধ করে দিচ্ছে। ২০১৮ সালে গেমিং অ্যাপ ‘টুইচ’ লঞ্চ করেছিল ফেসবুক। তবে ২০২০ সালের এপ্রিলে মহামারির সময়টাতে এর জনপ্রিয়তা এবং গ্রাহক সংখ্যা বাড়তে থাকে। তবে এবছর ফেসবুক গেমিং অ্যাপটি খুব বেশি ব্যবহার হচ্ছে না। এজন্য গেমিং অ্যাপই বন্ধ করে দিচ্ছে ফেসবুক।
মেটার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ২৮ অক্টোবর থেকে গুগল প্লে স্টোর এবং অ্যাপল অ্যাপ স্টোর উভয় জায়গা থেকেই সরানো হবে ফেসবুক গেমিং অ্যাপটিকে। টুইচ এবং ইউটিউবকে টেক্কা দেওয়ার জন্য ফেসবুক এই গেম স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম চালু করে। সেই সময়ে ই-স্পোর্টস কমিউনিটি এই গেমিং অ্যাপের জন্য ফেসবুকের উপরে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছিল। তবে সেদিকে খুব একটা পাত্তা দেয়নি ফেসবুক।
এখন কী কারণে টেক জায়ান্টটি তার গেম স্ট্রিমিং অ্যাপ বন্ধ করছে, তা স্পষ্ট নয়। এই গেমিং অ্যাপ বন্ধের কোনও কারণ জানায়নি মেটা। যদিও ফেসবুক তার গেমিং পরিষেবার ওয়েব-ভিত্তিক সংস্করণ চালিয়ে যাবে। এটি ফেসবুকের প্রধান সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপেও পাওয়া যাবে।
ফেসবুক অ্যাপ থেকেই অ্যাক্সেস করা যেত গেমটি। পরবর্তীতে জনপ্রিয়তার পরে সংস্থাটি ২০২০ সালের এপ্রিলে একটি আলাদা ফেসবুক গেমিং চালু করে। এই প্ল্যাটফর্মটি ব্যবহারকারীদের তাদের প্রিয় স্ট্রিমারগুলো দেখতে, তাৎক্ষণিক গেম খেলতে এবং গেমিং গ্রুপগুলোতে সংযুক্ত হতে দেয়।
যদিও গেম স্ট্রিমিং কোভিড অতিমারির সময় জনপ্রিয়তা পেয়েছিল। স্ট্রিমল্যাবস থেকে পাওয়া তথ্য অনুসারে, ২০২২ সালের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে ফেসবুক, টুইচ এবং ইউটিউবে গেম স্ট্রিমিং দেখার জন্য ব্যয় করা ঘণ্টার সংখ্যা ৮.৪ শতাংশ কমেছে। চলতি বছরের প্রথম এবং দ্বিতীয় প্রান্তিকে ফেসবুক গেমিং-এর দর্শক সবচেয়ে কম ছিল। পরিসংখ্যান বলছে, প্রথম কোয়ার্টারে ৮০৩ মিলিয়ন এবং দ্বিতীয় কোয়ার্টারে ছিল ৫৮০ মিলিয়ন।