দীর্ঘ সময় ধরে কাজ করার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠান ও দেশের প্রবৃদ্ধিতে অবদান রাখায় সম্প্রতি কর্মীদের পুরস্কৃত করল হুয়াওয়ে বাংলাদেশ। কমপক্ষে ছয় বছর যাবৎ প্রতিষ্ঠানে কাজ করে যাচ্ছেন, এমন কর্মীদের সম্প্রতি হুয়াওয়ের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে স্বীকৃতি প্রদান করেন হুয়াওয়ে বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা।
কর্মীদের জ্ঞান ও নেতৃত্বের দক্ষতা উন্নয়নের সমন্বিত প্রক্রিয়াই একটি প্রতিষ্ঠানে তাদের দীর্ঘদিন কাজ করার ক্ষেত্রে উৎসাহিত করে। কর্মীদের অবদানকে স্বীকৃতি দিতে প্রায়ই বিভিন্ন প্রোগ্রামের আয়োজন করে হুয়াওয়ে। নিবেদিত কর্মীদের প্রচেষ্টা ও অবদানকে সম্মান জানাতে নেয়া বিভিন্ন উদ্যোগের মধ্যে এই পুরস্কার প্রদান অন্যতম। কর্ম বছরের উপর ভিত্তি করে কর্মীদের হুয়াওয়ে ল্যাপটপ অথবা হুয়াওয়ে ট্যাব দিয়ে সম্মাননা জানানো হয়।
হুয়াওয়ে টেকনোলোজিস (বাংলাদেশ) লিমিটেডের জ্যেষ্ঠ কর্মী ওয়াহিদ শামস এ উদ্যোগ নিয়ে বলেন, “একটি সম্পূর্ণভাবে কানেক্টেড ইনটেলিজেন্ট বাংলাদেশ তৈরিতে কাজ করে যাচ্ছে হুয়াওয়ে। এটা একটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ। ১৪ বছরের বেশি সময় ধরে প্রতিষ্ঠানের অংশ হিসেবে এমন মহৎ লক্ষ্যে অর্জনে কাজ করে যেতে পেরে আমি গর্বিত। হুয়াওয়েতে কর্মীরা সবসময় শেখার ও নিজেদের বিকাশের সুযোগ পায়। দীর্ঘ সময় ধরে প্রতিষ্ঠানে কাজ করার ক্ষেত্রে কর্মীদের জন্য এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।”
হুয়াওয়ে টেকনোলোজিস (বাংলাদেশ) লিমিটেডের মানবসম্পদ বিভাগের প্রধান হুয়াং বাওশিয়ং বলেন, “ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবায়নে সহায়তা করছে হুয়াওয়ে। এটা শুধুমাত্র আমাদের নিবেদিতপ্রাণ কর্মীদের আন্তরিক প্রচেষ্টা ও নিবেদনের কারণে সম্ভব হয়েছে। তাদের ভূমিকার কারণেই হুয়াওয়ে আজ এই অবস্থানে পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছে। আমাদের সহকর্মীদের কাজের স্বীকৃতি প্রদান করার সুযোগ পাওয়ায় আমরা আনন্দিত।”
হুয়াওয়ে গত ২৩ বছর ধরে একটি সম্পূর্ণভাবে কানেক্টেড ইনটেলিজেন্ট বাংলাদেশ তৈরিতে বিভিন্ন খাতে ধারাবাহিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে। হুয়াওয়ের বিস্তৃত এই লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য ক্যারিয়ারমুখী সুযোগ হিসেবে বাংলাদেশের মানুষের সামনে এসেছে। উল্লেখ্য, প্রতিষ্ঠানটির ৮৫ শতাংশ কর্মীই স্থানীয়ভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত।