আগামী ২১ ও ২২ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হবে ‘বিপিও সামিট ২০১৯’। সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তর এবং বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কলসেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সিংয়ের (বাক্কো) যৌথ উদ্যোগে ঢাকার প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে অনুষ্ঠিত হবে এ আয়োজন। সামিটকে সফল করার জন্য সারাদেশে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে অ্যাক্টিভেশন কার্যক্রম।
ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ, ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (ইউআইইউ), ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, নর্দার্ন ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ, ঢাকা সিটি কলেজ, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজি, শান্ত-মারিয়াম ইউনিভার্সিটি অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলজি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ, গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজ, ইন্সটিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি, সিটি ইউনিভার্সিটি, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি, তেজগাঁও কলেজ, ইউনিভার্সিটি অফ এশিয়া প্যাসিফিক, ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি, সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটি, ঢাকা মহিলা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, সরকারি বাংলা কলেজসহ মোট ৩০টি বেশি বিশ্ববিদ্যালয়ে অ্যাক্টিভেশন কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হবে।
অ্যাক্টিভেশন কার্যক্রমে বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অনুষ্ঠেয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, বাংলাদেশ আইসিটি বিভাগের কর্মকর্তা ও বাক্যের কার্যনিবাহী কমিটির সদস্যরা। প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে অ্যাক্টিভেশনে শিক্ষার্থীদের আগ্রহ দেখা গেছে। শিক্ষার্থীরা অ্যাক্টিভেশনের বক্তাদের কাছে বিপিওর বিভিন্ন বিষয়ে প্রশ্ন করেন। পড়াশোনা অবস্থায় কিভাবে বিপিও সেক্টরে কাজ যায় সে বিষয় জানতে চায় শিক্ষার্থীরা। এ সময় বক্তারা শিক্ষার্থীদের বিপিও সেক্টরে কাজের ক্ষেত্র এবং বিপিও খাতে ভবিষ্যতের কাজ সম্পর্কে ধারণা দেয়। এছাড়া সেমিনারে শিক্ষার্থীদের বিপিও সামিট বাংলাদেশ ২০১৯ ও বিপিওয়ের প্রয়োজনীয়তা সর্ম্পকে ধারণা দেওয়া হয়।
রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁওয়ে দুই দিনের ‘বিপিও সামিট বাংলাদেশ ২০১৯’ উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ।
আয়োজকদের পক্ষ জানানো হয়, দুই দিনের আয়োজনে দেশি-বিদেশি তথ্যপ্রযুক্তিবিদ, সরকারের নীতিনির্ধারক, গবেষক, শিক্ষার্থী এবং বিপিও খাতের সঙ্গে জড়িতরা অংশ নেবেন। প্রযুক্তি ব্যবসা বিশেষ করে আউটসোর্সিং ব্যবসা পরিচালনা, ব্যবসার উন্নয়ন ও বিনিয়োগের আদর্শ দেশ হিসেবে বাংলাদেশ বিশ্ব-দরবারে ইতিমধ্যে পরিচিয় পেয়েছে। এবারের আয়োজনে দেশের আউটসোসিং খাতকে আরও সমৃদ্ধ করতে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করা হবে। সরকারের রূপকল্প-২০২১ বাস্তবায়নে বিপিও খাতের বিভিন্ন উদ্যোগ বিশ্বের কাছে তুলে ধরা হবে। বিপিও খাতে দক্ষ ও পর্যাপ্ত জনবল তৈরিও এই সামিটের অন্যতম লক্ষ্য।
আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এবারের আয়োজনে আউটসোর্সিং সেবা, পরবর্তী প্রজন্মের ধারণাগুলো প্রদর্শন করা হবে। সময়ের আলোচিত সেবা বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে। গত তিন বারের সফল আয়োজনের এবার আরও বড় পরিসরে বিপিও সামিট আয়োজন করা হবে। বিপিও খাতে ২০২১ সালের মধ্যে ১ লাখ কর্মসংস্থাণ সৃষ্টি লক্ষ্যে এ আয়োজন গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করবে বলে আশা করেন আয়োজকরা।
এবারের আয়োজনে ৬০ জন স্থানীয় বক্তা, ২৫ জন আন্তর্জাতিক বক্তা অংশগ্রহণ করবে। এবারের বিপিও সামিটে ১৩টি সেমিনার, কর্মশালা ও গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
আয়োজনে অংশীদার হিসেবে যুক্ত হয়েছে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস), বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি (বিসিএস), বাংলাদেশ উইমেন ইন টেকনোলজি (বিডব্লিউআইটি), আইএসপি অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আইএসপিএবি) ও বাংলাদেশ মোবাইল ফোন ইমপোর্টারস অ্যাসোসিয়েশন (বিএমপিআইএ) ইত্যাদি।