২০২৭ সালের মধ্যে অগ্রসর চিপ উৎপাদন তিন গুণ বাড়াতে চায় স্যামসাং। বৈশ্বিক অর্থনীতিতে শ্লথগতি সত্ত্বেও ব্যাপক চাহিদাকে সামনে রেখে উৎপাদন বৃদ্ধিতে জোর দিচ্ছে দক্ষিণ কোরিয়াভিত্তিক প্রযুক্তি জায়ান্টটি।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৫ সালের মধ্যে ২ ন্যানোমিটারের অত্যাধুনিক চিপ পুরোদমে উৎপাদন শুরু করবে স্যামসাং। ২০২৭ এ উৎপাদন শুরু হবে ১ দশমিক ৪ ন্যানোমিটারের চিপ। গত জুনে ৩ ন্যানোমিটারের চিপ গণ-উৎপাদন শুরু করেছে তারা। এ অগ্রসর চিপের গ্রাহক তালিকায় রয়েছে কোয়ালকম, টেসলা, অ্যাডভান্সড মাইক্রো ডিভাইসেস বা এএমডির মতো প্রতিষ্ঠান।
সাম্প্রতিক বছরগুলোয় গ্রাহকদের প্রত্যাশিত সময়ে সেমিকন্ডাক্টর পণ্য সরবরাহে হিমশিম খাচ্ছে বিশ্বের শীর্ষ এ মেমরি চিপ নির্মাতা কোম্পানিটি। বিশ্লেষকরা বলছেন, টিএসএমসির সঙ্গে টেক্কা দিতে গিয়ে দ্রুত অগ্রসর প্রযুক্তি গ্রহণ করেছে তারা। কিন্তু চুক্তিভিত্তিক চিপ নির্মাণে দীর্ঘমেয়াদে গ্রাহক সেবা দেয়ার অভিজ্ঞতা কম থাকায় টিএসএমসির চেয়ে পিছিয়ে রয়েছে তারা।
স্যামসাংয়ের ইলেকট্রনিকস ডিভাইস সলিউশনস বিভাগের প্রধান কিয়াং-কাই-হিয়ুন সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, টিএসএমসি ফাউন্ড্রি খাতে যে উন্নতি করেছে তার তুলনায় অনেক পিছিয়ে স্যামসাং। এছাড়া ৫ ও ৪ ন্যানোমিটারের চিপের পারফরম্যান্স ততটা আশানুরূপ নয়। তবে ২০২৪ সালে নির্মিত হতে যাওয়া ৩ ন্যানোমিটারের চিপের দ্বিতীয় ভার্সন নিয়ে গ্রাহকরা এরই মধ্যে আগ্রহ দেখাচ্ছে।
বিশ্বজুড়ে মূল্যস্ফীতি শঙ্কা জাগালেও ৫ ন্যানোমিটারের এবং অগ্রসর চিপের চাহিদা বাড়ছে বলে জানান কিয়াং-কাই-হিয়ুন। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই), ফাইভজি ও ৬জি সংযোগ ও গাড়ি শিল্পে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে অত্যাধুনিক চিপের। তিনি আরো জানান, পূর্বপরিকল্পিত সব বিনিয়োগ সম্পন্ন করা গেলেও চাহিদা পূরণ কঠিন ঠেকবে ফাউন্ড্রি শিল্পের।
চিপ নির্মাণের মেশিন সরবরাহ করে ডাচ কোম্পানি এএসএমএলের মতো কিছু কোম্পানি। কিন্তু তাদেরও কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে।
স্যামসাং ইলেকট্রনিকসের ফাউন্ড্রি ব্যবসার ভাইস প্রেসিডেন্ট মোনসু ক্যাং জানান, সরবরাহ চেইনে শৃঙ্খলার জন্য মার্কিন গ্রাহকরা যুক্তরাষ্ট্রেই চিপ উৎপাদনে যেতে চায়। টেক্সাসের টেইলরে আমাদের যে কারখানা রয়েছে তা বেশ বড়। এটা ইচ্ছে করলে আমরা সম্প্রসারণ করতে পারি।