সম্প্রতি বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম হতে জানা যাচ্ছে যে, বিভিন্ন প্রতারকচক্র সাধারণ মানুষকে সুরক্ষা সিস্টেমের মাধ্যমে টিকার বিষয়ে বিভ্রান্তিমূলক তথ্য প্রদানসহ প্রতারণা করে যাচ্ছে। কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন ব্যবস্থাপনার জন্য ডিজিটাল প্লাটফর্ম “সুরক্ষা” তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের, আইসিটি অধিদপ্তর তৈরি করে এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশনা মোতাবেক স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে ভ্যাকসিন কার্যক্রম পরিচালনার জন্য কারিগরি সহায়তা প্রদান করে আসছে।
বিভিন্ন প্রতারকচক্র সুরক্ষা সিস্টেমের একাধিক ফিশিং ক্লোন সাইট তৈরি করে সনদ জালিয়াতির চেষ্টা করে, যা পরিলক্ষিত হলে আইসিটি অধিদপ্তর বিটিআরসি –এ অভিযোগের মাধ্যমে ক্লোন সাইট বন্ধ করে। সুরক্ষা সিস্টেমটির লিংক- https://surokkha.gov.bd। টিকা সনদের QR কোড স্ক্যান করলে উক্ত ওয়েবসাইট ব্যতীত অন্য কোন ডোমেইনে গেলে সে সনদটি ভুয়া/জাল সনদ। প্রতারকচক্র সোশ্যাল মিডিয়ায় বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে নানা রকম বিভ্রান্তিমূলক তথ্য প্রদানসহ প্রতারণা করার চেষ্টা করে যাচ্ছে।
সাধারণ জনগণের প্রতি আইসিটি অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে উদাত্ত আহবান, প্রতারকচক্র হতে অধিক সতর্ক হউন। সরকারের গুরুত্বপূর্ণ নাগরিক সেবা প্রদানে সহায়তা করুণ। অনিয়ম বা প্রতারণা পরিলক্ষিত হলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অবহিত করুণ।
উল্লেখ্য, সুরক্ষা সিস্টেমে এখনও পর্যন্ত কোন প্রকার কারিগরি নিরাপত্তাজনিত সমস্যা পরিলক্ষিত হয়নি। সুরক্ষা সিস্টেম ব্যবহারের জন্য উন্মুক্ত করার পূর্বে SQTC (Software Quality Testing and Certification Center) কর্তৃক সনদপ্রাপ্ত। সিস্টেমটি সরকারের KPI প্রতিষ্ঠান 3-tier (NDC- National Data Center)-এ অত্যন্ত সুরক্ষিতভাবে সংরক্ষিত রয়েছে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তর বিভিন্ন সময়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের চাহিদা মোতাবেক সুরক্ষা সিস্টেম ব্যবহারের নিমিত্ত ইউজার আইডি যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মনোনীত উপযুক্ত প্রতিনিধির কাছে প্রদান করে।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তর কোন ব্যবহারকারীকে সরাসরি ইউজার আইডি প্রদান করে না। প্রদানকৃত ইউজার –পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে মনোনীত ব্যবহারকারী প্রতিবার সিস্টেমে লগইন করার সময় পূর্বে যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে প্রদানকৃত ব্যবহারকারীর স্ব স্ব মোবাইলে OTP (One Time Password) নিশ্চিত করেই কেবলমাত্র সিস্টেমে প্রবেশ করতে পারে।