শনিবার শুরু হওয়া গোলযোগের ফলে ২০ লাখের মতো ব্যবহারকারী হারিয়েছে কাকাওটক। দক্ষিণ কোরিয়াভিত্তিক এ মেসেজিং অ্যাপের খারাপ সময়ের ফল ঘরে তুলেছে টেলিগ্রামের মতো বিকল্প মাধ্যমগুলো।
ইন্ডাস্ট্রি ট্র্যাকার ওয়াইজঅ্যাপের সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে বলা হয়, গত রোববার কাকাওটকের ব্যবহারকারী ছিল ৩ কোটি ৯০ লাখ ৫ হাজার, যা গত শুক্রবারের ৪ কোটি ১১ লাখ ২০ হাজার থেকে ২০ লাখ ৭ হাজার কম।
২০১০ সালে চালুর পর সবচেয়ে বড় ধরনের বিভ্রাটের মুখে পড়ে কাকাওটক। এতে লাইন ও টেলিগ্রামের মতো বিকল্প মেসেজিং অ্যাপগুলো এ সুযোগে নতুন গ্রাহক পেয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়াভিত্তিক সার্চ ইঞ্জিন ম্যাভার করপোরেশনের অ্যাফিলিয়েট প্রতিষ্ঠান লাইনের ব্যবহারকারী প্রায় তিন গুণ বেড়েছে। গত শুক্রবার নাগাদ অ্যাপটির ব্যবহারকারী যেখানে ছিল ৪ লাখ ৩০ হাজার, রোববার তা ১২ লাখ ৮০ হাজারে দাঁড়িয়েছে।
টেলিগ্রাম ও ফেসবুক মেসেঞ্জার অ্যাপ ব্যবহারকারীও বেড়েছে বলে জানায় ওয়াইজঅ্যাপ। সোমবার এক টুইটে টেলিগ্রাম জানায়, দক্ষিণ কোরিয়ায় সর্বোচ্চ ডাউনলোড হওয়া অ্যাপের একটিতে পরিণত হয়েছে টেলিগ্রাম। আমরা আমাদের এ নতুন গ্রাহকদের স্বাগত জানাই। আশা করি, তারা আমাদের অনেকগুলো ডাটা সেন্টার অবকাঠামোর আওতায় স্থিতিশীল সংযোগ উপভোগ করবে।