চলতি বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে বিশ্বজুড়ে স্মার্টফোন বিক্রি ৯ দশমিক ৭ শতাংশ কমেছে। এ নিয়ে টানা পাঁচ প্রান্তিকে স্মার্টফোন বিক্রি কমলো। বিশ্ব অর্থনীতিতে মন্দা ভাবের কারণে গ্রাহক ইলেকট্রনিকস গ্যাজেট ক্রয় কমিয়ে অতিপ্রয়োজনীয় পণ্য ক্রয় ও সঞ্চয়ে মনোযোগী হওয়ায় স্মার্টফোন বাজারে প্রভাব পড়েছে। মার্কিন প্রযুক্তিবাজার বিশ্লেষক প্রতিষ্ঠান আইডিসির প্রতিবেদনে এমনটাই উঠে এসেছে।
বিশ্বব্যাপী সুদহার বৃদ্ধি ও ক্রমবর্ধমান জ্বালানি মূল্য বৃদ্ধিতে ভোক্তা ব্যয়ে প্রভাব পড়েছে। চীনের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে শ্লথগতি ও কভিড-১৯ লকডাউনের প্রভাবে স্মার্টফোন বিক্রিতে শ্লথগতি দেখা গেছে। শাওমি, ভিভো ও অপোর মতো কোম্পানির স্মার্টফোন বিক্রিতে পতন হয়েছে। শুধু অ্যাপলের আইফোন বিক্রিতে চাঙ্গা ভাব দেখা গেছে।
আইডিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি বছরের তৃতীয় ত্রৈমাসিকে বিশ্বব্যাপী স্মার্টফোন বাজারে সার্বিক পতন ঘটেছে। এ সময়ে শুধুমাত্র অ্যাপলের আইফোন বিক্রিতে চাঙ্গা ভাব দেখা গেছে। তবে অন্যান্যদের মতো এই টেক জায়ান্টকেও এই মুহূর্তে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হচ্ছে। অ্যাপল অনেকটাই চীন নির্ভরশীল ছিল। করোনা মহামারির কারণে চীনের প্রধান প্রধান বাণিজ্যকেন্দ্রগুলো লকডাউনের আওতায় থাকায় অ্যাপল তাদের ব্যবসায়িক কার্যক্রম ভারতসহ অন্যান্য দেশে সম্প্রসারিত করছে।
বৈশ্বিক স্মার্টফোনের বাজারে বড় রকমের পতন দেখা দিলেও পাঁচটি কোম্পানি ভালো অবস্থানে রয়েছে। আইডিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২১.১ শতাংশ মার্কেট শেয়ার নিয়ে স্মার্টফোন বাজারের শীর্ষস্থান নিজেদের দখলে রেখেছে দক্ষিণ কোরিয়ার স্যামসাং, দ্বিতীয় অবস্থানে আছে অ্যাপল, তাদের মার্কেট শেয়ার ১৭.২ শতাংশ। শাওমি ১৩.৪ শতাংশ মার্কেট শেয়ার নিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে। ৮.৬ শতাংশ মার্কেট শেয়ার নিয়ে চতুর্থ এবং পঞ্চম স্থানে রয়েছে অপো ও ভিভো।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে সারাবিশ্বে স্মার্টফোন বিক্রি কমেছিল ৯ শতাংশ। তৃতীয় প্রান্তিকে সেটাও ছাড়িয়ে গেছে। ২০১৭ সালে রেকর্ড ১৫৬ কোটি ইউনিট স্মার্টফোন বিক্রি হয়। পরবর্তী তিন বছরে স্মার্টফোন বিক্রি কমেছে।