ফেসবুকের কাছে ১১৭১টি অ্যাকাউন্ট ব্যবহারকারীর তথ্য চেয়েছে বাংলাদেশ সরকার। এসব অনুরোধের মধ্যে ৪৯টি ছিলো জরুরি। সরকারের কাছ থেকে পাওয়া অনুরোধের ৬৬.০১ শতাংশ অ্যাকাউন্টের তথ্য সরবরাহ করেছে ফেসবুক। ফেসবুকের প্রকাশিত ট্রান্সপারেন্সি প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রতি ছয় মাস পরপর ট্রান্সপারেন্সি প্রতিবেদন প্রকাশ করে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ। তবে কোন অ্যাকাউন্টগুলোর তথ্য চাওয়া হয়েছে তা উল্লেখ করা হয় না।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বজুড়েই ফেসবুকের কাছে বিভিন্ন দেশের সরকারের তথ্য চাওয়ার হার বেড়েছে। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন মাস পর্যন্ত বিভিন্ন দেশ থেকে মোট ২ লাখ ৩৭ হাজার ৪১৪টি অনুরোধ এসেছে ফেসবুকের কাছে, যা আগের ছয় মাসের তুলনায় সাড়ে ১০ শতাংশ বেশি।
সবচেয়ে বেশি অনুরোধ এসেছে যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে, যা প্রায় ৭০ হাজার। তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারত, এরপরই আছে জার্মানি, ব্রাজিল, ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্য।
বিভিন্ন অপরাধমূলক ঘটনা বিশেষ করে দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ও ডিজিটাল নিরাপত্তার সাথে সম্পৃক্ত বিষয়ে তদন্তের জন্য ফেসবুকের কাছে তথ্য চেয়ে থাকে বিভিন্ন দেশের সরকার।
ফেসবুকের ট্রান্সপারেন্সি প্রতিবেদনে বলা হয়, বিভিন্ন দেশের সরকারের পক্ষ থেকে আসা এসব অনুরোধ আইন এবং পরিষেবার শর্তাবলী অনুসারে তারা বিবেচনা করে থাকে। আইনগত কিছু বাধ্যবাধকতা থাকায় তথ্য দেওয়ার বা প্রত্যাখ্যানের আগে প্রতিটি অ্যাকাউন্ট খুব সাবধানে পর্যালোচনা করে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ।