ফুটবল ম্যাচে দায়িত্বরত রেফারিরা আগে ঘড়ি পরতেন সময় দেখার জন্য। সময়ের সঙ্গে বদলে গেছে রেফারির ঘড়িও। প্রযুক্তিগত ভাবে অনেকটাই উন্নত হয়েছে রেফারিদের ঘড়ি। এ বছর ফুটবল বিশ্বকাপে রেফারিরা পেয়েছেন উন্নত প্রযুক্তির স্মার্টওয়াচ। তাদের জন্য বিশেষ মডেলটি তৈরি করেছে সুইজ়ারল্যান্ডের প্রতিষ্ঠান হাবলট।
বিশ্বকাপে ১২৯ জন ম্যাচ পরিচালকের দায়িত্বে রয়েছেন। এদের মধ্যে ৩৬ জন মূল রেফারি, ৬৯ জন সহকারী এবং ২৪ জন ভার রেফারি। প্রত্যেকেই পেয়েছেন বিশেষ এই স্মার্টওয়াচ।
বাজারে যেসব দামি স্মার্টওয়াচ পাওয়া যায়, তার থেকেও বেশি প্রযুক্তি সম্পন্ন এই স্মার্টওয়াচ। গুগল ওয়্যার ওএস অপারেটিং সিস্টেমে চলা এই স্মার্টওয়াচ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডিজাইনে তৈরি করা হয়েছে। সামনে আছে বড়সড় ধাতব বেজেল। গোল ডিসপ্লে ব্যবহার করেছে হাবলট।
এসব স্মার্টওয়াচে বিশেষ ফিচার হিসেবে আছে ম্যাচ চলাকালীন বলের অবস্থান জানা, গোল হয়েছে কি না তা নিশ্চিত হওয়া। ম্যাচের তথ্য সরাসরি রেফারির হাতে পৌঁছে দেওয়াই এসব ফিচারের উদ্দেশ্য, যাতে সিদ্ধান্ত নিতে সহজ হয়।
স্মার্টওয়াচটিতে বিভিন্ন ধরনের চিপ ব্যবহার করা হয়েছে। বল গোল লাইন অতিক্রম করল কি না, অফসাইড হলো কি না, ভারের রেফারিরা কোনো নির্দেশ দিলো কি না- এসব ক্ষেত্রে সঙ্গে সঙ্গে ঘড়িটি কেঁপে উঠে।
এবারের বিশ্বকাপে এ রকম একহাজার স্মার্টওয়াচে তৈরি করা হয়েছে। স্মার্টওয়াচটির মূল্য ৫,৪৮০ মার্কিন ডলার, বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় সাড়ে পাঁচ লাখ টাকা। উল্লেখ্য, সাধারণ মানুষের জন্য এখনও এই স্মার্টওয়াচ বাজারে উন্মোচন করা হয়নি।