সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের ‘ব্যক্তিগত প্রচারণা চালানো’ এনএফটি সংগ্রহের ‘বড় ঘোষণা’ নিয়ে ব্যপক হাস্যরস সৃষ্টি হলেও, মাত্র ১২ ঘন্টায় ভারতীয় এক ব্লকচেইন প্ল্যাটফর্মে তার সবকটি এনএফটি বিক্রি হয়ে গেছে।
এনএফটি’র পূর্ণরূপ হলো ‘নন ফাঞ্জিবল টোকেন’। এটি বিশেষ এক ধরনের ডিজিটাল সংগ্রহ, যা ‘নকল, বদলানো বা ভাঙানো’ যায় না। এটি কোনো ব্লকচেইনে থাকে, যার মাধ্যমে এর সত্যতা বা মালিকানা চিহ্নিত করা যায়।
এই সপ্তাহের শুরুতে, নিজস্ব সামাজিক প্ল্যাটফর্ম ট্রুথ সোশালে ‘বড় এক ঘোষণার’ ইঙ্গিত দিয়েছিলেন গত বছর টুইটারে নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়া ট্রাম্প।
কেউ কেউ অনুমান করেছেন, তিনি হয়তো ২০২৪ সালের আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য তার সঙ্গীর ঘোষণা দেবেন, অথবা নিজের নির্বাচনী প্রচারণা সম্পর্কে কোনো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানাবেন।
অনেকের কাছে, এমনকি কয়েকজন ট্রাম্প সমর্থকের কাছেও ঘোষিত খবরটি ‘হতাশাজনক’ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। ঘোষণাটি হলো, ‘ট্রাম্পের নিজস্ব থিমের’ এনএফটি সংগ্রহ।
“এসে গেছে আমার আনুষ্ঠানিক ‘ডনাল্ড ট্রাম্প ডিজিটাল ট্রেডিং কার্ড!” –বৃহস্পতিবার পোস্ট করেন তিনি।
পোস্টে ট্রাম্প ‘এনএফটি’ শব্দটি কখনও ব্যবহার না করলেও ডিজিটাল ট্রেডিং কার্ড বলতে তিনি সেটিই বুঝিয়েছেন। ভারতের ব্লকচেইন প্ল্যাটফর্ম পলিগনে তার ৪৫ হাজার এনএফটি ছিল। এগুলোর প্রতিটির দাম ছিল ৯৯ ডলার করে।
বাজার বিশ্লেষক কোম্পানি ওপেনসি’র তথ্য অনুযায়ী, এনএফটি সংগ্রহ নিয়ে ট্রাম্পের সমর্থক ও সমালোচক, দুই পক্ষই অনলাইনে ব্যপক হাস্যরস করলেও কেবল ১২ ঘন্টার মধ্যেই তার ৪৫ হাজার এনএফটির সবকটি বিক্রি হয়ে গেছে।
প্রতিটি এনএফটি’র দাম ৯৯ ডলারের হিসাবে, সংগ্রহ থেকে সর্বমোট উঠেছে সাড়ে ৪৪ লাখ ডলার। ওপেনসি’র মতো মধ্যমানের বাজারে প্রতিটি এনএফটি বিক্রির ১০ শতাংশ করে পান সংগ্রহের নির্মাতারা।
ওপেনসি-তে এখন পর্যন্ত চার লাখ ছয় হাজার ডলারের (তিনশ ২০ ইথার) এনএফটি কেনা-বেচা করেছেন কারবারীরা। তবে, ওই অর্থ কোথায় যাচ্ছে বা কীভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে, ওই বিষয়গুলো এখনও ‘রহস্য’ হিসেবেই বিবেচিত।
সংগ্রহটির নির্মাতা কোম্পানি ‘এনএফটি আইএনটি’ নিজস্ব সাইটে বলছে, এই সংগ্রহ থেকে ওঠানো অর্থ ট্রাম্পের ২০২৪ সালের নির্বাচনী প্রচারণায় ব্যবহৃত হবে না।