সদ্য সমাপ্ত হয়েছে কাতার ফুটবল বিশ্বকাপ। ৩২টি দলের অংশগ্রহণে নানা চমক, ঘটন- অঘটনের সাক্ষী এই ফুটবল বিশ্ব। দীর্ঘ ৩৬ বছরের শিরোপা খরার অবসান ঘটিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনা। মাঠের খেলা যেমন সবার হৃদয় ছুঁয়েছে, ঠিক তেমনি এবারের বিশ্বকাপ দেখেছে নতুন নতুন রেকর্ডও। সেটি মাঠে যেমন হয়েছে, ঠিক তেমনি মাঠের বাইরেও।
এবারের বিশ্বকাপে বিশ্বের শীর্ষ সার্চ ইঞ্জিন গুগল, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইনস্টাগ্রাম-টুইটার নতুন রেকর্ড করেছে।
বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলা চলাকালীন সময়ে যে পরিমাণ গুগল সার্চ হয়েছে, তা গত ২৫ বছরের ইতিহাসে কখনও হয়নি। গুগল সিইও সুন্দর পিচাই বলেন, গুগল সার্চের সংখ্যা আর তথ্য খোঁজার বিষয় দেখে মনে হচ্ছিল, গোটা বিশ্বের মানুষের ভাবনা একটি বিষয় নিয়েই। পৃথিবী আর কিছুই জানতে চায় না।
এদিকে ইনস্টাগ্রামে সবাইকে ছাড়িয়ে গেছে আর্জেন্টাইন সুপারস্টার লিওনেল মেসি। বিশ্বকাপ জয়ের আনন্দ কোটি কোটি ফুটবল ভক্তদের সঙ্গে ভাগ করে নিতে ইনস্টাগ্রামে দশটি ছবি পোস্ট করেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক। সেই ছবিতে লাইক-কমেন্টের বন্যা বয়ে গেছে। তিন বছর আগে পর্তুগিজ তারকা ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর একটি পোস্ট ইনস্টাগ্রামে সবথেকে বেশি লাইক পড়েছিল। খেলার মাঠে যেমন রোনালদোকে পেছনে ফেলে বিশ্বকাপ জিতেছেন মেসি, ঠিক তেমনই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের পোস্টেও জনপ্রিয়তার শীর্ষে। মেসির ওই পোস্ট ৬.৭ কোটির বেশি লাইক পড়েছে। যা ইনস্টাগ্রামের ইতিহাসে নতুন রেকর্ড।
কাতার বিশ্বকাপ ফাইনালে টাইব্রেকারের সময় প্রতি সেকেন্ডে হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা আদান–প্রদান হয়েছে আড়াই কোটি। টুইটারে ফাইনালে ফ্রান্সের গোল হওয়ার মুহূর্তে টুইট হয়েছে ২৪ হাজার। বিশ্বকাপ ফাইনালে প্রতি সেকেন্ডে হোয়াটসঅ্যাপে আড়াই কোটি বার্তা আদান–প্রদান হয়েছে। হোয়াটসঅ্যাপ উপভোগ্য এই বিশ্বকাপের অংশ হতে পেরে আনন্দিত ও গর্বিত।
হোয়াটসঅ্যাপ ও ইনস্টাগ্রামের মালিক মার্ক জাকারবার্গ বলেন, বিশ্বকাপ জেতার পরে মেসির পোস্ট ইনস্টাগ্রামের ইতিহাসে সবথেকে বেশি লাইক পেয়েছে। একই সঙ্গে বিশ্বকাপ ফাইনালের দিন জনপ্রিয়তার শীর্ষে ছিল হোয়াটসঅ্যাপও। শুধুমাত্র ফাইনাল ম্যাচ চলাকালীন সময় ২.৫ কোটি মেসেজ পাঠিয়েছেন ব্যবহারকারীরা।