বিসিএস কম্পিউটার সিটি সারা দেশের মানুষের কাছে প্রযুক্তিপণ্য কেনার এক নির্ভরযোগ্য বিপণী বিতান। প্রতিষ্ঠার ২৩ বছর অতিক্রম হলেও এই মার্কেটের প্রযুক্তিপণ্য বিক্রেতারা মুলধনের দিক থেকে লাভবান হতে পারছেন না। যেহেতু ব্যক্তি মালিকানায় দোকান হস্তান্তর হচ্ছে না সেহেতু ব্যবসায়ীরা দোকানের বিপরীতে লোন সুবিধা পাচ্ছেন না। এমনকি দোকানের ভাড়া বাড়লেও একক মালিকানা সুবিধা বাড়ছে না। তাই এই অঞ্চলে নতুন একটি কম্পিউটার মার্কেট সময়ের দাবি।
০৭ জানুয়ারি শনিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর আগাঁরগাওয়ে বিসিএস কম্পিউটার সিটি, আইডিবি ভবনে আয়োজিত দেশের বৃহত্তম কম্পিউটার মেলা সিটি আইটি মেগা ফেয়ার ২০২২ এর সমাপণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন বিসিএস সভাপতি ইঞ্জি. সুব্রত সরকার।
তিনি আরো বলেন, অন্যান্য কম্পিউটার বিপনী বিতানে যে দোকানগুলো পাঁচ থেকে ছয় হাজার টাকায় কেনা হয়েছিল বিশ বছর পর এই দোকানগুলোর মূল্যমান কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে। এই দোকানের বিপরীতে কম্পিউটার বিক্রেতা অর্থলগ্নী প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ সুবিধা ভোগ করতে পারছেন। কিন্তু বিসিএস কম্পিউটার সিটির প্রযুক্তিপণ্য ব্যবসায়ীরা এই সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
সুব্রত সরকার বলেন, বিসিএস কম্পিউটার সিটি বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির অবিচ্ছেদ্য অংশ। বিসিএস কম্পিউটার সিটির প্রথম কম্পিউটার ফেয়ার বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয়। সফল এই আয়োজনের সাথে জড়িত সকল স্তরের দক্ষ নেতৃবৃন্দকে আমি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। পাশাপাশি এই অঞ্চলে নতুন একটি মার্কেট গড়ার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে বিসিএসসহ অন্যান্য তথ্যপ্রযুক্তির সংগঠনগুলো সর্বাত্মক সহায়তা করতে প্রস্তুত। তাই শিগগিরই এই ব্যাপারে উদ্যোগ নিতে বিসিএস কম্পিউটার সিটির নেতৃবৃন্দকে আমি আহ্বান জানাই।
সমাপণী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিসিএস পরিচালক ও স্মার্ট টেকনোলজিস বিডি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম। সভাপতিত্ব করেন বিসিএস কম্পিউটার সিটি, আইডিবির সভাপতি এ এল মজহার ইমাম চৌধুরী (পিনু চৌধুরী)। সিটি আইটি মেগা ফেয়ার ২০২২ এর আহ্বায়ক মো. জাহেদ আলী ভূঁইয়ার সঞ্চালনায় র্যাফেল ড্র এবং সাংস্কৃতিক সন্ধ্যার মাধ্যমে সিটি আইটি মেগা ফেয়ার ২০২২ সমাপ্ত হয়।