অ্যাপল ও অ্যামাজন ভিন্ন খাতের দুই মার্কিন প্রতিষ্ঠান। বৈশ্বিক প্রযুক্তি খাতে একচ্ছত্র আধিপত্য অ্যাপলের। অন্যদিকে ই-কমার্স খাতে অপ্রতিদ্বন্দ্বী প্রতিষ্ঠান অ্যামাজন। তবে ভোক্তা পর্যায় থেকে অর্থ উপার্জনে অনেক ক্ষেত্রে এ দুই প্রতিষ্ঠানের মধ্যে তীব্র প্রতিযোগিতা বিরাজমান। একে অন্যের প্রতিদ্বন্দ্বী হলেও দুই প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে ঘনিষ্ঠ ব্যবসায় সম্পর্ক। যে কারণে ক্লাউড স্টোরেজ সেবার জন্য অ্যামাজন ওয়েব সার্ভিসেসে (এডব্লিউএস) প্রতি মাসে ৩ কোটি ডলার ব্যয় করে অ্যাপল। সংশ্লিষ্ট সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে এমনটা জানিয়েছে সিএনবিসি।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, অ্যাপল তাদের আইক্লাউডের সেবা দ্রুত গ্রাহক পর্যায়ে পৌঁছাতে ক্লাউড প্রযুক্তিতে ব্যয় ক্রমান্বয়ে বাড়াচ্ছে। কারণ অনলাইনভিত্তিক বিভিন্ন সেবা খাত এখন তীব্র প্রতিযোগিতাপূর্ণ হয়ে উঠেছে। বিদ্যমান প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে এবং সুষ্ঠুভাবে আইক্লাউডের সেবা দিতে অ্যামাজন ক্লাউডে ব্যয় বাড়াচ্ছে অ্যাপল।
অ্যাপলের গুরুত্বপূর্ণ পণ্য আইফোন। বৈশ্বিক বাজারে আইফোন ডিভাইস বিক্রি ধারাবাহিকভাবে কমছে। এ পরিস্থিতিতে হার্ডওয়্যারের পরিবর্তে অ্যাপ স্টোর, আইটিউনস ও আইক্লাউডের মতো অনলাইন সেবাগুলো থেকে রাজস্ব আয় বাড়াতে জোর দিচ্ছে অ্যাপল। যে কারণে এসব সেবাসংশ্লিষ্ট প্রযুক্তিতে ব্যয় বাড়াচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। সর্বশেষ গত মাসে ভিডিও এবং ম্যাগাজিনের জন্য সাবস্ক্রিপশনভিত্তিক সেবা চালু করেছে।
এর আগে বিবৃতিতে অ্যাপল জানিয়েছে, আইক্লাউড স্টোরেজ সেবা দিতে তারা ই-কমার্স জায়ান্ট অ্যামাজনের ক্লাউডসেবা ব্যবহার করছে। তবে অ্যাপলের আর কোনো সেবায় অ্যামাজন ক্লাউড বা তৃতীয় পক্ষের কোনো ক্লাউডসেবা ব্যবহার করা হয় কিনা, সে বিষয়ে কোনো তথ্য জানানো হয়নি।