সেলফোনে প্রসেসরের সঙ্গে আলাদা গ্রাফিকস প্রসেসিং ইউনিট (জিপিইউ) থাকে। অধিকাংশ চিপে অন্য প্রতিষ্ঠানের জিপিইউ ব্যবহার করা হয়। সেদিক থেকে এক্সিনোস ২২০০ তে এক্সক্লিপস ৯২০ জিপিইউ ব্যবহার করেছে স্যামসাং। এর মাধ্যমে নতুন আরেকটি সিদ্ধান্তও নিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার এ প্রযুক্তি জায়ান্ট। নিজস্ব গ্রাফিকস প্রসেসিং ইউনিট তৈরি করবে প্রতিষ্ঠানটি।
নিজস্ব জিপিইউ বানানোর বিষয়টি নতুন নয়। সেদিক থেকে নতুন প্রতিষ্ঠান হচ্ছে স্যামসাং। বিভিন্ন কোম্পানি যখন স্মার্টফোন চিপ বাজারজাতের উদ্যোগ নেয় তখন কাস্টম জিপিইউসহ আনে। কোয়ালকম ও অ্যাপল আগে থেকেই এ কাজ করে আসছে। প্রযুক্তিবিদ ও বিশ্লেষকদের প্রশ্ন, স্যামসাংয়ের নতুন জিপিইউ কি অ্যাড্রেনো ও অ্যাপলকে ছাড়াতে পারবে।
এক্সিনোস ২২০০ তে যে এক্সক্লিপস ২২০০ জিপিইউ ব্যবহার করা হয়েছে সেটি অ্যাডভান্সড মাইক্রো ডিভাইসের (এএমডি) আরডিএনএ২ আর্কিটেকচার ব্যবহার করা হয়েছে। কাস্টম চিপসেটের জন্য স্যামসাংও একই আর্কিটেকচার ব্যবহার করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে এটি স্যামসাংয়ের একক জিপিইউ হবে না। কেননা আইপি তৈরিতে এএমডির সহায়তা নিতে হবে।
এক্সিনোস ২১০০ উন্মোচনের আগে স্যামসাং এআরএমের মালি জিপিইউর ডিজাইনের ওপর নির্ভরশীল ছিল। কাস্টম চিপসেট তৈরি ও বাজারজাতের মাধ্যমে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রযুক্তি জায়ান্টটি হয়তো এআরএমের ওপর নির্ভরশীলতা কমাতে পারবে।
মালি জিপিইউর সক্ষমতায় বিস্তর পার্থক্য রয়েছে। তবে সংশ্লিষ্টদের ধারণা, স্যামসাংয়ের জিপিইউর সহায়তায় এ পার্থক্য ভালোভাবে কমানো যাবে। তবে শিগগিরই কাস্টম গ্রাফিকস প্রসেসর বাজারে আসছে না। টিপস্টার রেভেগনাসের তথ্যানুযায়ী, স্মার্টফোনের জন্য নিজস্ব কাস্টম গ্রাফিকস প্রসেসিং ইউনিট বাজারজাতের স্যামসাংয়ের তিন বছরেরও বেশি সময় লাগবে। এ সময়ের মধ্যে অ্যাপল ও কোয়ালকম স্মার্টফোনের বাজারে আরো এগিয়ে যাবে। তবে স্যামসাংয়ের জিপিইউ বাজারে আসার পর প্রতিযোগিতা বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
বিশ্লেষকদের অভিমত, কাস্টম জিপিইউ তৈরিতে স্যামসাংয়ের সময় লাগবে। আর যদি এটি ভালোভাবে কাজ না করে তাহলে বাজারজাতের সিদ্ধান্ত থেকে সরেও আসতে পারে প্রতিষ্ঠানটি। কেননা স্মার্টফোনের চিপসেট বাজারজাতেই স্যামসাং এখনো সেভাবে সফল নয়।