ফোল্ডেবল বা ভাঁজযোগ্য ডিভাইসের দিকে ঝুঁকছে অনেকে। স্যামসাং থেকে শুরু করে শাওমি, অপোসহ বিভিন্ন দেশের প্রতিষ্ঠান এ ক্যাটাগরির ডিভাইস বাজারে এনেছে। ধীরে ধীরে এর জনপ্রিয়তাও বাড়ছে। আইডিসির তথ্যানুযায়ী, ২০২৭ সাল নাগাদ ৪ কোটি ৮১ লাখ ইউনিট ফোল্ডেবল ডিভাইস বিক্রি হবে।
আইডিসির বরাতে গিজমোচায়নায় প্রকাশিত খবরে বলা হয়, ২০২৩-এর তুলনায় ২০২৭ সালে ২ কোটি ১৪ লাখ ইউনিট বেশি ফোল্ডেবল ডিভাইস বিক্রি হবে, যা ২০২২ সালের ১ কোটি ৪২ লাখ ইউনিটের তুলনায় ৫০ শতাংশ বেশি। সে হিসেবে ২০২৭ সালে ৪ কোটি ৮১ লাখ ইউনিট ডিভাইস বিক্রি হবে। অন্য অর্থে ২০২২ থেকে ২০২৭ সাল পর্যন্ত বার্ষিক চক্রবৃদ্ধি হার হবে ২৭ দশমিক ৫।
প্রতিবেদনের তথ্যানুযায়ী, একই সময়ের মধ্যে সাধারণ মডেলের স্মার্টফোনগুলোর বিক্রি ১৩২ কোটি ২৯ লাখ ইউনিটে পৌঁছাবে। পাঁচ বছরের হিসাবে বার্ষিক চক্রবৃদ্ধি হার ২ দশমিক ১। আইডিসির পূর্বাভাস স্মার্টফোন বিক্রির গড় মূল্য ৬ দশমিক ৮ শতাংশ কমবে। অরিজিনাল ইক্যুইপমেন্ট ম্যানুফ্যাকচারাররা (ওইএম) স্মার্টফোন কীভাবে তৈরি করছে, এর গঠন, সফটওয়্যার ও হার্ডওয়্যার আপডেটের ওপর দামের উত্থান-পতন নির্ভর করবে।
আইডিসির মোবাইলফোন বিভাগের রিসার্চ ম্যানেজার অ্যান্থনি স্কারসেলা জানান, ভোক্তারা বর্তমানে নতুন ধরনের ডিভাইস ব্যবহারে আগ্রহ প্রকাশ করছে। যে কারণে ফোল্ডেবল বা ভাঁজযোগ্য ডিভাইসের বাজার পূ্র্বাভাসের তুলনায় আরো ভালো অবস্থানে রয়েছে।
২০২২ সালে গড় বিক্রি মূল্য ১০ শতাংশ কমায় বাজার ৭৫ দশমিক ৫ শতাংশ বেড়েছে। কেননা কিছু কিছু বাজারে ফোল্ডেবল ডিভাইসের মূল্য গ্রাহকের নাগালের মধ্যে রয়েছে। নতুন ভেন্ডর ও মডেল এ খাতে যুক্ত হচ্ছে। তাই সংশ্লিষ্টদের ধারণা চলতি বছর ফোল্ডেবল স্মার্টফোনের বাজার ভালো অবস্থানে থাকবে।