ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) আল হাদিস এ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের আয়োজনে ‘আত্মগঠন ও শৃঙ্খলাবোধ প্রতিষ্ঠায় রামাদানের ভূমিকা’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদ ভবনের ৪০৩ নম্বর কক্ষে এটি অনুষ্ঠিত হয়।
বিভাগের অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. সৈয়দ মাকসুদুর রহমান। এ ছাড়া, অধ্যাপক ড. সেকান্দার আলী, অধ্যাপক আ খ ম ওয়ালী উল্লাহসহ বিভাগের অন্য শিক্ষকবৃন্দ ও শিক্ষার্থীরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বিভাগের শিক্ষার্থী কে এম আতিকুর রহমান।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিভাগের অধ্যাপক ড. শফিকুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, সাওম ধৈর্য্য, সহানুভূতি ও ভ্রাতৃত্ববোধকে জাগ্রতকরণের মধ্য দিয়ে সামাজিক শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখে। একজন সিয়াম পালনকারী ব্যক্তি ক্ষুধা ও দরিদ্রতার কষ্ট অনুভব করতে পারে। ফলে, সমাজের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর প্রতি তার সহায়তার হস্ত প্রসারিত হয়।
তারা বলেন, সাওমের মূল কথা হলো দিনের বেলা পানাহার ও বৈধ যৌনাচার থেকে বিরত থাকার মাধ্যমে তাকওয়া অর্জন ও আত্মগঠনের প্রশিক্ষণ নেওয়া। ভালো মানের ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, কৃষক, শ্রমিক ও পেশাজীবী তৈরির জন্য যেমন ট্রেনিং বা প্রশিক্ষণ প্রয়োজন তেমনি আত্মগঠন তথা ভালো মুমিন হওয়ার জন্যও প্রশিক্ষণ প্রয়োজন, যে প্রশিক্ষণের মূল মন্ত্র হলো জিহ্বা, পেট ও যৌনতার উপর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ। অপরাধ প্রবণতার জন্য দায়ী মূলত এই তিনটি বিষয়ই। এই অঙ্গত্রয়ের উপর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ ছাড়া আত্মগঠন ও সভ্য সমাজ নির্মিত হয় না। এ তিনটি কারণেই মানুষ অশান্তি, উপার্জনে দুর্নীতি ও ব্যভিচারের দিকে ধাবিত হয়। এক কথায়, মাসব্যাপী সিয়াম সাধনার মধ্য দিয়ে মানুষ তার পাশবিক প্রবৃত্তিকে সংযত ও আত্মিক শক্তিকে জাগ্রত ও বিকশিত করে তোলার পরিপূর্ণ সুযোগ লাভ করে।