২০৩০ সালের মধ্যে চিপ বিক্রি তিন গুণ করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে জাপান। সেমিকন্ডাক্টর ও সংশ্লিষ্ট উপাদানের বিক্রি উত্তীর্ণ হবে ১৫ ট্রিলিয়ন ইয়েন বা ১১ হাজার ৩০০ কোটি ডলারে। সে লক্ষ্যে বাড়ানো হবে বিনিয়োগ। সম্প্রতি এমনটাই জানিয়েছে দেশটির শিল্প মন্ত্রণালয়।
জাপানের গৃহীত পরিকল্পনা সেমিকন্ডাক্টর উৎপাদন বাড়ানোর কৌশলের অংশ। বছরের শেষ দিকে হালনাগাদ করা হবে পরিকল্পনা। প্রযুক্তিগত স্থিতিশীলতা ও নিরাপদ সরবরাহের জন্য ক্রমবর্ধমান বৈশ্বিক প্রতিযোগিতার মধ্যে এ পরিকল্পনা উন্মোচন করা হলো। ২০২০ সালে দেশটির চিপ ও সংশ্লিষ্ট উপাদানের মোট বিক্রয় দাঁড়িয়েছিল ৫ ট্রিলিয়ন ইয়েন। যা বৈশ্বিক বাজারের ১০ শতাংশের সমান। পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য প্রায় ১১ ট্রিলিয়ন ইয়েন বিনিয়োগ করতে হবে বলে ধারণা করছে শিল্প মন্ত্রণালয়। যুক্ত হবে সরকারি ও বেসরকারি খাত। আগামী ১০ বছর গবেষণা ও উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে এ বিনিয়োগের অর্থ ব্যয় করা হবে।
সেমিকন্ডাক্টর ও ডিজিটাল শিল্প খাত নিয়ে প্রাথমিকভাবে ২০২১ সালে পরিকল্পনা করে জাপান। তবে দেশটির সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় পরিকল্পনাটিকে পর্যালোচনায় রেখেছে। বিশেষ করে সাম্প্রতিক কালে সেমিকন্ডাক্টরের সাপ্লাই চেইনের ঝুঁকি ও অন্যান্য পণ্যের গুরুত্ব বাড়ার কারণে। কভিডের অভিঘাত, রাশিয়ার ইউক্রেন অভিযান ও চীনের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি সেখানে পালন করেছে অনুঘটকের ভূমিকা। সরকার এর মধ্যে জাপানের অভ্যন্তরে চিপ তৈরিতে পদক্ষেপ নিয়েছে। প্রযুক্তি সংস্থা র্যাপিডাস করপোরেশনকে অর্থনৈতিক সহযোগিতা দেয়া হয় ৭ হাজার কোটি ইয়েন। র্যাপিডাস গত বছর প্রতিষ্ঠিত হয়েছে টয়োটা মোটর করপোরেশন ও সনি গ্রুপ করপোরেশনের বিনিয়োগে। কোম্পানিটি যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তি জায়ান্ট আইবিএম করপোরেশনের সঙ্গে অংশীদারত্বের ভিত্তিতে চিপ উৎপাদন করবে। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটি ২০২৭ সালের মধ্যে জাপানে আর্ট টু ন্যানোমিটার টেকনোলজি তৈরির প্রকল্প নিয়ে কাজ করছে।
এদিকে তাইওয়ানের সেমিকন্ডাক্টর ম্যানুফ্যাকচারিং করপোরেশন ও টোকিওভিত্তিক ফ্ল্যাশ মেমরি নির্মাতা কিয়োক্সা করপোরেশন তাদের কারখানা স্থাপন করছে কুমামোতো ও মিয়ে অঞ্চলে। জাপান সিদ্ধান্ত নিয়েছে ৫৬ হাজার ৮৯০ কোটি ইয়েন সহযোগিতা দেয়ার। দক্ষিণ পশ্চিম ও মধ্য জাপানকে নতুন সুবিধার অন্তর্ভুক্ত করতে নেয়া হচ্ছে এ পরিকল্পনা।