চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের এ যুগে দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি নিশ্চিত করতে তরুণ প্রজন্মকে কারিগরি ও প্রযুক্তি শিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলতে বললেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ।
মঙ্গলবার ( ১৮ এপ্রিল) বঙ্গভবন কেবিনেট হলে উদ্ধোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বঙ্গভবন তোশাখানা জাদুঘরের ভার্চুয়াল রিয়ালিটি(ভিআর) উদ্ধোধনকালে এ কথা বলেন। এ সময় তথ্য ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকও উপস্থিত ছিলেন।
তিনি বলেন, প্রযুক্তির উদ্ভাবন ও এর সঠিক ব্যবহারের উপরেই নির্ভর করবে আমরা দেশকে কতটা এগিয়ে নিতে পারবো। আমাদের তরুণ প্রজন্ম খুবই মেধা সম্পন্ন এবং উপযুক্ত সুযোগ সুবিধা পেলে তারা যে কোনো পরিবেশের সাথে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যেতে সক্ষম।
প্রযুক্তিকে কতটা কাজে লাগানো যায় তা নিশ্চিতের পাশাপাশি এর অপব্যবহার রোধ করার উপরই প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও উন্নয়নের সুফল নির্ভর করে। এক্ষেত্রে আইসিটি বিভাগকে নেতৃত্বের ভূমিকা পালন করার আহবান জানান রাষ্ট্রপতি।
তিনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো বিশেষ করে উচ্চশিক্ষা পর্য়ায়ে প্রযুক্তি শিক্ষা ও গবেষণা ব্যপ্তি বাড়াতে শিক্ষা মন্ত্রনালয়সহ অংশীজনদের সাথে নিয়ে সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ করার ব্যাপারে উদ্যোগী হতে বলেন।
স্মার্ট বাংলাদেশ বির্নিমাণে তথ্যপ্রযুক্তি হয়ে উঠতে পারে বাংলাদেশের অন্যতম উন্নয়ন হাতিয়ার উল্লেখ করে তিনি বলেন, এখন ভিআরসহ অন্যান্য প্রযুক্তির সঠিক বিকাশের জন্য উন্নত প্রশিক্ষণ, উচ্চ শিক্ষা, মৌলিক গবেষণার সুযোগ সৃষ্টিসহ নানা সৃজনশীল উদ্যোগ গ্রহণ করে দেশে প্রযুক্তির সঠিক বিকাশ সুনিশ্চিত করতে হবে।
চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের অন্যতম আনুষঙ্গ হিসেবে ভিআরকে বিবেচনা করা হয়। তিনি বলেন, এ প্রযুক্তির প্রভাব এখন পর্যন্ত যতটুকু আমরা দেখতে পাচ্ছি অদূর ভবিষ্যতে এর চেয়ে শতগুণ বেশি হবে। সত্যিকার অর্থে ভিআর প্রযুক্তি মানুষের জীবনের ধরনকেই আমূল বদলে দেবে।
রাষ্ট্রপতি হামিদ এখন থেকেই এই প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার সুনিশ্চিত করে এর সর্বোচ্চ সুফল ঘরে তোলার উপর জোর দেন।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের উদ্যোগে এবং ম্যাজিকসফট লি: এর প্রযুক্তিগত ও কারিগরি সহায়তায় জাদুঘরটিকে ভার্চুয়াল রিয়্যালিটি টেকনোলজি এর মাধ্যমে জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। ভার্চুয়াল ট্যুরের মাধ্যমে দেশী বিদেশী দর্শনার্থীগণ চারদিক ঘুরে ঘুরে সবকিছু দেখার বাস্তব অভিজ্ঞতা নিতে পারবেন।
পরবর্তীতে অতি দ্রুততম রেকর্ড সময়ে বঙ্গভবন তোষাখানা জাদুঘরের ভার্চুয়্যাল রিয়েলিটি ওয়েব প্লাটফর্ম (vr.bangabhaban.gov.bd), এ্যানড্রয়েড মোবাইল এ্যাপ এবং মেটা এ্যাপ তৈরি করা হয়েছে।
এ্যানড্রয়েড এ্যাপ গুগল প্লে স্টোর ও মেটা এ্যাপটি মেটাভার্স এ পাওয়া যাবে। সবচেয়ে গর্বের বিষয় হচ্ছে এই এ্যাপটি সরকারী উদ্যোগে মেটাভার্সে প্রকাশিত প্রথম বাংলাদেশী এ্যাপ।
উল্লেখ্য মেটাভার্স বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে বড় ও সমৃদ্ধ ভিআর মাধ্যম যেটি ফেসবুকের দ্বারা নির্মিত।