নগদকে সরকারের ডাক অধিদপ্তর সেবা হিসেবে প্রচার করা হলেও এর মালিকানায় ডাক অধিদপ্তরের কোনো অস্তিত্ব নেই। শুধু মুনাফার ভাগাভাগিতে ডাকের নাম ব৵বহার করছে নগদ। বর্তমানে নগদের পুরো মালিকানা বেসরকারি খাতের হাতে। আগে থার্ড ওয়েভ টেকনোলজিস নামের একটি প্রতিষ্ঠান নগদের মালিকানায় ছিল, যার শেয়ারধারী ছিল অনেকে।
জেনেনিন নগদের মালিকানায় আছে যারা
নগদের ৮ শতাংশ সাধারণ শেয়ার রয়েছে সিগমা ইঞ্জিনিয়ার্সের কাছে, যেটির প্রতিনিধি সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল নগদের চেয়ারম্যান। তাসিয়া হোল্ডিং প্রায় ৬ শতাংশ শেয়ারের মালিক, যার প্রতিনিধি তানভীর এ মিশুক নগদের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। ২৮ শতাংশ শেয়ারের মালিকানায় থাকা স্টালওয়ার্ট লিমিটেডের প্রতিনিধি তামজীদ রহমান হলেন পরিচালক। এ ছাড়া ২২ শতাংশ শেয়ারের মালিকানা ফিনক্লুশন ভেঞ্চারের, যেটির প্রতিনিধি ফায়সাল আহসান চৌধুরী, মারুফুল ইসলাম ঝলক ও মোহাম্মদ আমিনুল হক নগদের পরিচালক। এ ছাড়া শেয়ার নিয়ে পরিচালক হিসেবে আছেন মিয়ার্স হোল্ডিংয়ের প্রতিনিধি গিলনস এলস্টায়ার জেমস ফার্লে, ব্লু ওয়াটার হোল্ডিংয়ের প্রতিনিধি সাফায়েত আলম ও ফিনটেক হোল্ডিংয়ের প্রতিনিধি নিয়াজ মোর্শেদ। গত বছরের ২৫ জুলাই পরিচালক পদ থেকে পদত্যাগ করেন রাহেল আহমেদ, তিনি ফিনক্লুশন ভেঞ্চারের প্রতিনিধি ছিলেন।
এদিকে নগদ গ্রাহকদের জমা থাকা টাকার ওপর যে ব্যাংকঋণ নিয়েছে ও বন্ড ছেড়ে টাকা তোলার উদ্যোগ নিয়েছে, তার কোনো দায় ডাক অধিদপ্তর নেবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে। পাশাপাশি শেয়ার নিতে কোনো অর্থও দেবে না।