দেশের অন্যতম জনপ্রিয় ব্র্যান্ড মার্সেল-এর একটি ফ্রিজ কিনে আরেকটি ফ্রি পেয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মার্জিয়া আক্তার নামের এক গৃহিণী। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার টিএ রোডের শুভেচ্ছা ইলেক্ট্রনিক্স থেকে ফ্রিজটি কিনে ডিজিটাল ক্যাম্পেইন-২০২৩ সিজন-১৮’ এর আওতায় আরেকটি ফ্রিজ ফ্রি পান মার্জিয়া।
উল্লেখ্য, অনলাইনে দ্রুত ও সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবা প্রদানের লক্ষ্যে সারা দেশে চলছে মার্সেলের ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-১৮। আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে ক্যাম্পেইনের আওতায় মার্সেল ফ্রিজ, এসি, টিভি এবং ওয়াশিং মেশিন ক্রেতাদের জন্য রয়েছে ১০০% পণ্য ফ্রিসহ হাজার হাজার উপহার পাওয়ার সুযোগ। ১৫ মে থেকে শুরু হয়েছে এসব সুবিধা। চলবে চলতি বছরের ১৫ জুলাই পর্যন্ত।
গত বৃহস্পতিবার (১ জুন) বিকেলে প্রধান অতিথি হিসেবে মার্সেলের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর এবং ব্র্যান্ড রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট সেকশনের উপদেষ্টা চিত্রনায়ক আমিন খান উপস্থিত থেকে মার্জিয়ার স্বামী বাবু মিয়ার হাতে ফ্রিজটি তুলে দেন।
সেসময় উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. হুমায়ুন কবির, সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর আরিফুল আম্বিয়া, মার্সেল ডিস্ট্রিবিউটর নেটওয়ার্কের ডিএসএম সফিউল্লাহ লিটন, নেটওয়ার্কের আরএসএম শাখাওয়াত হোসেন, শুভেচ্ছা ইলেক্ট্রনিক্সের স্বত্বাধিকারী জাবেদ খন্দকার প্রমুখ।
ফ্রি ফ্রিজ প্রাপ্ত মার্জিয়া আক্তারের স্বামী বাবু মিয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদর উপজেলার রামরাইল ইউনিয়নের সেন্দ গ্রামের বাসিন্দা।
মার্জিয়া বলেন, ‘আমি মে মাসের ২২ তারিখ ব্রাহ্মণবাড়িয়া টিএ রোডের শুভেচ্ছা ইলেকট্রনিক্স থেকে ৩২ হাজার ৯৯০ টাকা দিয়ে মার্সেল ফ্রিজ কিনি। আমি তখনও জানতাম না একটি ফ্রিজ কিনলে আরেকটি ফ্রি পাওয়া যায়। আমি যখন ফ্রিজ কিনে বাড়িতে যাই, তখন মার্সেল হেড অফিস থেকে কল দিয়ে জানানো হয়— আমি একই দামের আরেকটি ফ্রিজ ফ্রি পেয়েছি। আমি বিশ্বাসই করতে পারিনি। কারণ এমন প্রতারণা করে অনেক সময় মোবাইলে কল আসে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিশ্বাস না করে আমি মার্সেল অফিসকে বলি আমার ফ্রিজ লাগবে না; আপনাদের ফ্রিজ আপনারাই রেখে দেন। পরে যখন অফিস থেকে আবারও বলেন— এই ফ্রিজটি আপনার প্রাপ্য। এটি আপনারই। তখন আমি বিশ্বাস করে পরের দিন ভোটার আইডিসহ সব কাগজপত্র নিয়ে টিএ রোডের শুভেচ্ছা ইলেক্টনিক্সে এসে বিষয়টি নিশ্চিত হই।’
একটি কিনে আরেকটি ফ্রিজ ফ্রি পাওয়ায় মার্জিয়া অনেক খুশি। তিনি মার্সেল কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান।