সরকারি কাজে স্বচ্ছতা, দায়বদ্ধতা বৃদ্ধি, সুশাসন সংহতকরণ, প্রাতিষ্ঠানিক স্বক্ষমতা উন্নয়ন ও সম্পদের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে রূপকল্প ২০৪১’ এর বাস্তবায়নের লক্ষ্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সাথে এর অধীন ৭টি দপ্তর ও সংস্থার সাথে ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) স্বাক্ষরিত হয়।
আজ আগারগাঁওস্থ আইসিটি টাওয়ারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সভাকক্ষে সংস্থা/দপ্তরসমূহের প্রধানগণ স্বস্ব প্রতিষ্ঠানের পক্ষে উক্ত চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। সংস্থাসমূহ হচ্ছে: বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল, বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তর, কন্ট্রোলার অব সার্টিফাইং অথরিটিজ, ডিজিটাল নিরাপত্তা এজেন্সি, বাংলাদেশ ডাটা সেন্টার কোম্পানি লিমিটেড (বিডিসিসিএল) এবং স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেড।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে অনলাইনে যুক্ত ছিলেন।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব মোঃ সামসুল আরেফিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক রণজিৎ কুমার, বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রেজাউল করিম, আইসিটি অধিদপ্তরেরর মহাপরিচালক মোঃ মোস্তফা কামাল, সিসিএ নিয়ন্ত্রক মোঃ আতাউর রহমান খান, ডিজিটাল নিরাপত্তা এজেন্সি’র মহাপরিচালক আবু সাঈদ মো: কামরুজ্জামান, বাংলাদেশ ডাটা সেন্টার কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জোহরা বেগম এবং স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সামি আহমেদসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় আইসিটি প্রতিমন্ত্রী বলেন ২০২১ সালের মধ্যেই আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়ন করতে সক্ষম হয়েছি। এখন আমাদের লক্ষ্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট ইকোনমি, স্মার্ট গভর্নমেন্ট এবং স্মার্ট সোসাইটি এই চারটি মূল স্তম্ভের ওপর ভিত্তি করে একটি সাশ্রয়ী, টেকসই, বুদ্ধিদীপ্ত, জ্ঞানভিত্তিক, উদ্ভাবনী স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ করা। তিনি কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে বলেন জননেত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্ন স্মার্ট বাংলাদেশকে বাস্তবে রূপ দিতে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি অনুযায়ী অর্পিত দায়িত্ব পালন করতে হবে।
উল্লেখ্য, এপিএ চুক্তি অনুযায়ী অর্থবছর শেষে চুক্তিতে নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগের প্রকৃত অর্জন মূল্যায়ন করা হয়। লক্ষ্যমাত্রা অর্জন অনুযায়ী নম্বর প্রদান করা হয়।