খাবার ভালো রাখতে এবং দীর্ঘদিন সংরক্ষণ করতে ফ্রিজ ব্যবহার করেন সবাই। কাঁচা সবজি থেকে শুরু করে মাছ, মাংস, রান্না করা খাবার সবকিছু সংরক্ষণ করেন ফ্রিজে। তবে নিয়মিত ফ্রিজ পরিষ্কার ও সার্ভিসিং করান না অনেকে। ফ্রিজ যেমন খাবার ভালো রাখতে সাহায্য করে তেমনি, অপরিষ্কার ফ্রিজ খাবারে বিভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়া তৈরি করে। যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।
সামনেই আসছে কোরবানি। এসময় একসঙ্গে অনেক বেশি মাংস ফ্রিজিং করতে হয়। কিন্তু সেসময় যদি ফ্রিজের সমস্যা দেখা দেয় তাহলে পড়তে হবে অনেক বড় ঝামেলায়। তাই কোরবানির আগেই ফ্রিজ সার্ভিসিং করাতে পারেন। যদি সার্ভিসিং করানোর বেশিদিন না হয়ে থাকে তাহলে একটু ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিলেই হবে।
এছাড়াও ৬ মাস অন্তর একবার মেকানিক, বা ফ্রিজ বিক্রেতা সংস্থার অভিজ্ঞ লোক দিয়ে ফ্রিজের সব কিছু পরীক্ষা করিয়ে নিন। এতে আপনার ফ্রিজ অনেক অনেক বছর ভালো থাকবে। ৬ মাসে না পারলে অন্তত ১ বছর পর পর সার্ভিসিং করান। এছাড়া প্রতি মাসে বা ২ মাসে একবার ডিপ ক্লিন করুন ফ্রিজ। ময়লাসহ খাবারের প্যাকেট বা সবজি রাখবেন না ফ্রিজে।
দেখে নিন কীভাবে ফ্রিজ দীর্ঘদিন ভালো রাখতে পারবেন-
>> গন্ধ এবং ময়লা থেকে রেফ্রিজারেটরকে রক্ষা করতে এটি কয়েকদিন পর পর পরিষ্কার করা উচিত। ফ্রিজের সব তাক এবং দরজা ভালো করে পরিষ্কার করতে হবে। কিন্তু এক্ষেত্রে মনে রাখবেন কোনো হার্ড রাসায়নিক ব্যবহার করা যাবে না ফ্রিজ পরিষ্কারের জন্য।
>> যাদের ম্যানুয়াল ডিফ্রস্ট ফ্রিজ রয়েছে, তাদের এটি পর্যায়ক্রমে ডিফ্রস্ট করা প্রয়োজন। কারণ বরফ জমা হওয়া ফ্রিজের শীতল করার ক্ষমতাকে হ্রাস করে। তাই ফ্রিজে বরফ জমে গেলে, তা নির্দিষ্ট সময় অন্তর অন্তর গলিয়ে ফেলা প্রয়োজন।
>> ফ্রিজের পেছনে বা নিচে থাকা কনডেন্সার কয়েলগুলোতে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ধুলো এবং নোংরা জমতে থাকে। এই জমে থাকা ময়লা রেফ্রিজারেটরের ঠান্ডা করার ক্ষমতাকে প্রভাবিত করতে পারে। এক্ষেত্রে ভ্যাকুয়াম ক্লিনারের সাহায্যে কয়েল পরিষ্কার করতে হবে।
>> ফ্রিজের দরজার সিল পরিষ্কার কি না তা নিয়মিত পরীক্ষা করা উচিত। ফ্রিজের দরজার সিল ভঙলে বা ক্ষতিগ্রস্ত হলে এটি প্রতিস্থাপন করার প্রয়োজন হতে পারে। কারণ এগুলো ফ্রিজের ঠান্ডা করার ক্ষেত্রে গুরুতর প্রভাব ফেলে। এর পাশাপাশি সঠিক তাপমাত্রারও খেয়াল রাখতে হবে।