মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা কর্তৃক আয়োজিত আর্টেমিস চ্যালেঞ্জে সক্রিয় অংশ গ্রহণের মাধ্যমে ‘এটু আই ইনোভেশন ল্যাব’ সকল মানদন্ডে উর্ত্তীণ হয়েছে ও নাসার বিশেষ অর্থায়নে গ্লিমিশনের আওতায় ২০২২ সালে চাঁদে ফেমটো স্যাটেলাইট পাঠানোর ঐতিহাসিক সুযোগ লাভ করে বাংলাদেশ।
সমগ্র বিশ্ব থেকে নাসার সকল মানদন্ডে উর্ত্তীণ ২১৩ টি প্রজেক্ট নাসার আর্টেমিস গ্রান্ট লাভ করে ও অর্জন করে ইতিহাস গড়ার সুযোগ। এ মিশনে যথাযথ ভাবে কাজ করার লক্ষ্যে অংশ গ্রহণকারী দল গুলোকে প্রস্তুত করার জন্য একটি অনলাইন ওয়ার্কশপ তথা বিশেষ ট্রেইনিং এর ব্যবস্থা করেছে নাসা।
স্যাটেলাইটের যাবতীয় কাঁচামাল ও রকেটের লঞ্চিং খরচ নাসার কলোরেডো স্পেস গ্রান্ট কন্সোর্শিয়াম বহন করবে। স্যাটেলাইটের মিশন প্লানিং থেকে শুরু করে স্যাটেলাইট রি-ডিজাইনিং, এসেম্বলি, টেস্টিং, রকেট লঞ্চিং এবং চাঁদে যাওয়ার পর মিশন কন্ট্রোল, ডাটাসংগ্রহ, ডাটা পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণে সার্বক্ষণিক সহায়তা বজায় রাখবে নাসা।
বিভিন্ন অ্যাডভান্স ডাটা সায়েন্স ও মেশিন লার্নিং এলগরিদম ব্যবহার করে চাঁদে স্থায়ী মানবসভ্যতা বিকাশের উপায় ও করণীয় খুঁজে বের করা হবে। এছাড়া চাঁদে কৃষি কাজ, ঘরবাড়ি, রাস্তা ঘাট ইত্যাদি অবকাঠামো নির্মাণে গুরুত্ব পূর্ণ ভূমিকা পালন করবে স্যাটেলাইট ডাটা বিশ্লেষণ।
এর মাধ্যমে ২০২৪ সালে বাংলাদেশ তিনটি ইতিহাস করতে চলেছে। প্রথমত, চাঁদের বুকে বাংলাদেশের প্রথম স্যাটেলাইট। দ্বিতীয়ত, বাংলাদেশের প্রথম গভীর মহাকাশ মিশন। তৃতীয়ত, প্রথম স্যাটেলাইট যা বাংলাদেশে এসেম্বলি ও প্রোগ্রাম করা হবে।