তথ্য প্রযুক্তির বিপ্লবের এই সময়ে জীবনকে সহজ করে তুলতে মোবাইল ফোনের ভূমিকা অতুলনীয়। বিনোদন থেকে শুরু করে ব্যাংকিং লেনদেন, সবই এখন হাতের মুঠোয়। বিভিন্ন কাজের জন্য আমরা অসংখ্য অ্যাপ ইন্সটল করে থাকি। কিন্তু কখনো ভেবে দেখেছেন, এসব অ্যাপের মাধ্যমে আপনার ফোনের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য চুরি হতে পারে?
কিছু সাইবার অপরাধী ফোনের বিভিন্ন তথ্য চুরি করতে কিছু লোভনীয় ফিচার সমৃদ্ধ অ্যাপ তৈর করে তা ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেও। গুগলের প্লে স্টোর বা অ্যাপলের অ্যাপ স্টোরেও এ ধরনের অ্যাপ পাওয়া যায়।
বিভিন্ন আকর্ষণীয় ফিচার ব্যবহারের লোভে অনেকে তেমন কিছু না ভেবেই ফোনে এসব অ্যাপ ইন্সটল করে ফেলেন। এসব অ্যাপ আপনার জন্য হয়ে উঠতে পারে মারাত্মক বিপদের কারণ। সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, হ্যাকাররা প্লে স্টোরের অ্যাপে ট্রোজান, অ্যাডওয়্যার, স্পাইওয়্যার ও বিভিন্ন ম্যালওয়্যার প্রোগ্রাম আপলোড করছে, যা ফোনের ডেটা চুরি করতে সক্ষম। বেশকিছু সাইবার সিকিউরিটি বিষয়ক জার্নালে বলা হয়েছে অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনগুলো গত ১ দশকে ধরে সাইবার অপরাধীদের প্রধান টার্গেটে পরিণত হয়েছে। কারণ এটি একটি ওপেন সোর্স প্রোগ্রাম ও সহজেই পরিবর্তন করা যায়।
আমরা অনেকেই ব্যবহার করে থাকি এরকম বেশ কিছু জনপ্রিয় অ্যাপও ফোনের তথ্য চুরি করে থাকে। উদাহরণ হিসেবে নিচের তালিকাটি দেওয়া হল:
অ্যামেজিং ওয়ালপেপার
হোপ ক্যামেরা-পিকচার রেকর্ড
সেম লঞ্চার এবং লাইভ ওয়ালপেপার
কুল ইমোজি এডিটর এবং স্টিকার
সিম্পল নোট স্ক্যানার
ইউনিভার্সাল পিডিএফ স্ক্যানার
ব্লাড প্রেসার চেকার
ভ্লগ স্টার ভিডিও এডিটর
ওয়াও বিউটি ক্যামেরা
ইনস্ট্যান্ট হার্ট রেট এনিটাইম
অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীরা গুগল প্লে স্টোরে অনেক অ্যাপের সমাহার দেখতে পান। কিন্তু, এর মধ্যে সব অ্যাপ সমান নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে না। তাই কোনো অ্যাপ ডাউনলোড করার আগে এর রেটিং দেখা উচিৎ এবং ব্যবহারকারীদের রিভিউ পড়া উচিৎ। রিভিউ ভালো হলে তবেই ডাউনলোড করা তুলনামূলক নিরাপদ। একই ফিচারের এবং দেখতে প্রায় একই রকম অ্যাপ পেতে পারেন প্লে স্টোরে। সেক্ষেত্রে যে অ্যাপটি সবচেয়ে বেশি ডাউনলোড হয়েছে সেটি বেছে নিতে পারেন এবং অবশ্যই রেটিং ও রিভিউ দেখে নিতে ভুলবেন না।
সূত্র: সাটলক এক্সপ্রেস