বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ ডিজিটাল সার্ভিসেস কোম্পানি পাঠাও ডিজিটাল ব্যাংক স্থাপনের জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের লাইসেন্সের অপেক্ষা করছে।
পাঠাও ডিজিটাল ব্যাঙ্ক, পাঠাও এর এক কোটি তরুণ ভোক্তা এবং পাঁচ লাখ ড্রাইভার, ডেলিভারি এজেন্ট ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের জীবনমান প্রযুক্তির মাধ্যমে উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের পরবর্তী অধ্যায়।
বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মের যে বৃহৎ অংশ দ্রুত উর্দ্ধগামী ও ডিজিটাল জীবনযাপনে অভ্যস্ত, তাদের বেশিরভাগ ইতোমধ্যেই পাঠাও এর নিয়মিত ব্যবহারকারী। দুর্ভাগ্যজনকভাবে দেশের অর্থনৈতিক খাতে অবদানকারী এই জনগোষ্ঠীর চাহিদাগুলো অবহেলিত থেকে যায়। ঋণ গ্রহণের জন্য তাদের পর্যাপ্ত যোগ্যতা ও চাহিদা থেকে থাকলেও এজন্য তাদেরকে অনেক প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হতে হয়, কেননা প্রচলিত ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে এই ভোক্তাদের, ও প্রযুক্তি-নির্ভর কম পুঁজির ক্ষুদ্র ব্যবসার, যোগ্যতা যাচাইয়ের জন্য পর্যাপ্ত বিতরণব্যবস্থা, ডেটা ও প্রযুক্তিগত সক্ষমতার অভাব রয়েছে।
সমৃদ্ধ গ্রাহক ডেটা, উন্নত অ্যানালিটিকস ও উচ্চ পর্যায়ের প্রকৌশল ক্ষমতা থাকার ফলে পাঠাও এই নির্দিষ্ট অংশটির আর্থিক সমস্যার সমাধানে বিশেষ উদ্ভাবনী পদ্ধতি নিয়ে এসেছে, যার একটি নমুনা ‘পাঠাও পে লেটার’– বাংলাদেশের সর্বপ্রথম ও সর্ববৃহৎ ‘বাই নাও পে লেটার (বিএনপিএল)’ সলিউশন।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও মেশিন লার্নিং অ্যালগরিদম দ্বারা পরিচালিত ‘পাঠাও পে লেটার’ এ রয়েছে কোম্পানিটির ১ লক্ষেরও বেশি বিশ্বস্ত গ্রাহকের জন্য খরচের শিথিলযোগ্য সময়সীমা এবং নিরবচ্ছিন্ন ‘ইউজার এক্সপিরিয়েন্স’। ২০২১ সালের ১৬ নভেম্বর এর যাত্রা শুরুর পর থেকে পাঠাও পে লেটার সময়মতো বকেয়া পুনরুদ্ধার এর ক্ষেত্রে অসামান্য দক্ষতা দেখিয়ে এসেছে।
পরবর্তীতে ২০২৩ সালের এপ্রিল মাসে ডিজিটাল পেমেন্ট ওয়ালেট চালুর জন্য পাঠাওকে একটি পেমেন্ট সার্ভিস প্রোভাইডার (পিএসপি) লাইসেন্স দেয়া হয়। পাঠাও পে ইতোমধ্যেই ক্লোজড বেটা টেস্টিং প্রক্রিয়ায় রয়েছে এবং আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই বাণিজ্যিক পরিসরেও চলে আসবে।
ডিজিটাল ব্যাংকিং লাইসেন্স পাঠাওকে এমন একটি রেগুলেটরি কাঠামোর সুবিধা দিবে, যার মাধ্যমে এর সকল ভোক্তা ও ক্ষুদ্র ব্যবসাগুলো যেভাবে চায় সেভাবেই লেনদেন করতে পারবে, যখন প্রয়োজন তখনি অর্থায়ন করতে পারবে, এবং যেভাবে উচিত সেভাবেই তহবিল পরিচালনা করতে পারবে ।
পাঠাও এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও সিইও ফাহিম আহমেদ বলেন, “পাঠাও শুধুমাত্র একটি ব্র্যান্ড বা প্রোডাক্ট না — এটি একটি লাইফস্টাইল। শহুরে যাতায়াত ব্যবস্থা এবং বাংলাদেশের গিগ ইকোনমির ক্ষেত্রে পাঠাও এক যুগান্তকারী পরিবর্তন এনেছে; এবার পাঠাও ডিজিটাল ব্যাংক বাংলাদেশের ব্যাংকিং ব্যবস্থাকেও আমূলে বদলে দেবে। আমরা বিশ্বাস করি যে বাংলাদেশের অর্থনীতিকে আরো সমৃদ্ধ করতে আমরা ক্যাটালিস্টের ভূমিকা পালন করবো।”