লন্ডন শহরে ফোন চুরির ঘটনা বাড়ছেই। চুরি ঠেকাতে নানান পন্থা অবলম্বন করেও লাভ হচ্ছে না। আপনি জানলে অবাক হবেন শহরটিতে প্রতি ছয় মিনিটে একটি করে ফোন চুরি হয়। সম্প্রতি এই উদ্বেগজনক পরিসংখ্যান দিয়েছে শহরের মেট্রোপলিটন পুলিশ।
মামলার ভিত্তিতে জানানো হয়েছে লন্ডন শহরে ৯০ হাজার ৮৬৪টি ফোন চুরি হয়েছে। প্রতিদিন ২৫০টি করে স্মার্টফোন চুরি হয় শহরটিতে।
পরিসংখ্যান বলছে, শহরে যত চুরি হয় তার ৭০ শতাংশ মোবাইল সংক্রান্ত। যা বেশ চিন্তাজনক বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। বাড়তে থাকা এই সমস্যাকে হাতিয়ার করে পথে নেমেছেন শহরবাসী। ফোন চুরির রি ঘটনাকে সামনে রেখে লন্ডনের মেয়র সাদিক খান এবং মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার স্যার মার্ক রাউলি যৌথভাবে একটি খোলা চিঠি জারি করেছেন।
এই চিঠিতে বিখ্যাত কিছু স্মার্টফোন নির্মাতা যেমন স্যামসাং, অ্যাপেলের মতো সংস্থাগুলোকে অপরাধীদের বিরুদ্ধে সক্রিয়ভাবে লড়াই করার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে। পাশাপাশি সহযোগিতামূলক পদক্ষেপের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। এই মর্মে সফটওয়্যার ডিজাইনারদের ফোন চুরি রুখতে কার্যকর সমাধান বিকাশের উপর কাজ করতে বলা হয়েছে।
লন্ডনের এই সংবেদনশীল পরিস্থিতিকে মাথায় রেখে ফোন চুরি যাতে রোখা যায় সেই আবেদনই করেছে সাধারণ মানুষ। মেট্রোপলিটন পুলিশের চিফ স্যার মার্ক রাউলি বলেন, চুরি যাওয়া ফোনগুলো পুনরায় নতুন ইউজারের নামে নথিভুক্ত করা হচ্ছে। অর্থাৎ এর পেছনে একটি বড় কালো বাজারি চক্র রয়েছে।
অন্যদিকে মেয়র সাদিক খান বলেন, অপরাধীদের কাছে চুরি করা ফোনগুলো পুনরায় সেট করে বিক্রি করা বেশ সহজ এবং লাভজনকও বটে।
পুলিশের দেওয়া পরিসংখ্যান ভয় ধরিয়েছে শহরের স্মার্টফোন ইউজারদের। কারণ প্রতিদিন ২৫০টি স্মার্টফোন চুরি হয় লন্ডনে। এই চুরির ঘটনা দ্বারা সবথেকে বেশি প্রভাবিত হয়েছেন তরুণরা। কারণ ১৪ বছর থেকে ২০ বছরের মধ্যে বয়সীদের ফোন সবথেকে বেশি চুরি হয়েছে।
বর্তমানে বেশ কিছু স্মার্টফোন ফাইন্ড মাই ডিভাইস থাকলেও যেমন অ্যাপেল এয়ারট্যাগ। কিন্তু তা যথেষ্ট নয় বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। পাশাপাশি ফোন চুরি রুখতে অতিরিক্ত ডিভাইস আনা বা নতুন সিস্টেম যোগ করা মানে ইউজারের কাছে জটিলতা বাড়ানো। তাই আপাতত সতর্কতা অবলম্বন করতেই বলছে প্রশাসন।