আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা এআই এবং ফটোশপের মধ্যমে আসল ছবিতে নানারকম পরিবর্তন করা এবং অশ্লীল ছবি তৈরির সম্ভাবনা অনেক বেড়ে গিয়েছে। প্রসঙ্গত, কোন ব্যক্তির ছবি চুরি করার পর সেটি বিকৃত করে শেয়ার করাকে রিভেঞ্জ পর্ণ বলা হয়। বিশ্বের বেশ কয়েকটি প্ল্যাটফর্ম রয়েছে যা এই ধরনের সমস্যায় পড়লে ভুক্তভোগীকে সাহায্য করে। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য একটি নাম StopNCII.org। এটি একটি ব্রিটেনের রিভেঞ্জ পর্ণ হেল্পলাইন সার্ভিস। যদি কেউ ইতিমধ্যেই আপনার বা আপনার পরিচিত কোনো ব্যক্তির ছবি বিকৃত করে ইন্টারনেটে শেয়ার করে থাকে, তাহলে এই প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে কীভাবে সেটি অপসারিত করা যাবে আসুন জেনে নেওয়া যাক।
এই সংস্থাটি যুক্তরাজ্যের একটি ননপ্রফিটেবল চ্যারিটি SWGfL-এর অংশ। প্ল্যাটফর্মটি জানিয়েছে, তাদের বিকৃত ছবি অপসারণের হার ৯০%, আর তারা উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে ইন্টারনেট থেকে ২০০,০০০ টিরও বেশি ব্যক্তিগত ছবি সফলভাবে সম্পূর্ণ রূপে অপসারণ করেছে। ওয়েবসাইটটির এর কাছে এমন একটি টুল আছে যার মাধ্যমে তারা অন্তরঙ্গ ছবি বা ভিডিও থেকে হ্যাশ/ডিজিটাল ফিঙ্গারপ্রিন্ট তৈরি করে।
প্ল্যাটফর্মটি মূলত ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, রেডডিট, টিকটক, বাম্বল, থ্রেডস নামক প্ল্যাটফর্মে থাকা ছবি অপসারিত করতে পারে।
ইন্টারনেট থেকে বিকৃত ছবি কীভাবে সরাবেন?
প্রথমে অভিযোগকারীকে অনলাইনে একটি ফর্ম ফিলআপ করতে হবে এবং প্ল্যাটফর্মে প্রয়োজনীয় ডেটা সরবরাহ করতে হবে। এলিজিবল ক্রাইটেরিয়া অনুযায়ী আপনার ডিভাইস থেকে যেকোনো অন্তরঙ্গ ছবি/ভিডিও নির্বাচন করতে হবে। StopNCII.org আপনার ডিভাইসে ছবি বা ভিডিওর একটি ডিজিটাল ফিঙ্গারপ্রিন্ট (অর্থাৎ হ্যাশ) তৈরি করবে৷ তারপর অভিযোগকারীর ডিভাইস থেকে একটি হ্যাশ পাঠানো হবে, কিন্তু কোনো ছবি বা ভিডিও পাঠানো হবে না। উল্লেখ্য, অভিযোগকারীর কোনো কন্টেন্ট আপলোড করাও হবে না। এরপর অভিযোগের সত্যতা যাচাই করে একটি কেস নম্বর দেওয়া হবে। ভবিষ্যতে অ্যাক্সেস করার জন্য পিনের সাথে এই কেস নম্বরের প্রয়োজন হবে। সংস্থাগুলি হ্যাশের সাথে মিলগুলি সন্ধান করবে এবং তাদের সিস্টেম থেকে বিকৃত ছবিগুলি সরিয়ে ফেলবে।