বিশ্বের প্রথম অ্যানড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম চালিত স্যাটেলাইট ফোন এলো। এই ফোন এনেছে ইনফিনিক্স। ফোনটিতে নেটওয়ার্ক না থাকলে স্যাটেলাইটের মাধ্যমে কল করা যাবে।
স্মার্টফোনে স্যাটেলাইট কানেক্টিভিটির ফিচার দিয়ে সারা বিশ্বকে চমকে দেয় অ্যাপল। এই ফিচারটি সর্বপ্রথম অ্যাপলের আইফোন ১৪ সিরিজের ফোনগুলোও দেওয়া হয়। যদিও তার পর থেকে এখনও পর্যন্ত নতুন ফোন নিয়ে আসেনি অ্যাপল।
কোম্পানির পরবর্তী আইফোন ১৫ সিরিজেও এই ফিচার দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে। যদিও আইফোন ১৪ সিরিজে স্যাটেলাইট কানেক্টিভিটি দেওয়া হলেও তা কেবলই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবহারকারীদের জন্য।
এবার অ্যানড্রয়েড ফোনেও এই জরুরি ফিচারটি দেওয়া হল। প্রথম অ্যানড্রয়েড ফোন প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান হিসেবে ইনফিনিক্স তাদের স্মার্টফোনে এই ফিচারটি যোগ করেছে। সম্প্রতি ইতালিতে লঞ্চ করা হয়েছে ইনফিনিক্স জিরো ৩০ ৫জি মডেল। এই অ্যানড্রয়েড ফোন নিয়ে রীতিমতো হইচই শুরু হয়ে গিয়েছে।
প্রথম অ্যানড্রয়েড ফোনে স্যাটেলাইট কানেক্টিভিটি
ইনফিনিক্স জিরো ৩০ ৫জি মডেলটি সর্বপ্রথম আত্মপ্রকাশ করে ইতালির ভেনিস শহরে। আর সেখানে ফোনের একটা ঝলক দেখা মাত্রই ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। অ্যাপলর দিয়ে যেভাবে সকলকে অবাক করেছিল। সে সময় অনেকেই মনে করেছিলেন যে, অ্যানড্রয়েড ফোনে স্যাটেলাইট কানেক্টিভিটি আসতে হয়তো অনেক সময় লেগে যাবে। আসলে কিন্তু তা হয়নি। চীনা প্রতিষ্ঠান ইনফিনিক্স অ্যানড্রয়েড ফোনে প্রথম স্যাটেলাইট কানেক্টিভিটি ফিচার দিয়ে অসম্ভবকে সম্ভব করে দেখিয়েছে।
স্যাটেলাইট কানেক্টিভিটির পাশাপাশি এই ফোনের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ফিচারের মধ্যে রয়েছে ৪কে ভিডিও রেকর্ডিংয়ের বৈশিষ্ট্য।
ফোনটির সামনের ক্যামেরার সাহায্যে ৬০ এফপিএস রেটে ভিডিও রেকর্ড করা যাবে। এছাড়াও ফোনটিতে একাধিক চমৎকার ফটোগ্রাফি টুলস এবং ফিল্টার রয়েছে, যা ব্যবহারকারীদের দুর্দান্ত ফটোগ্রাফি অভিজ্ঞতা দিতে পারবে। এখন সেই ফোনেই স্যাটেলাইট কানেক্টিভিটি বা খুব সহজে বলতে গেলে কোনও নেটওয়ার্ক ছাড়াই ইমার্জেন্সি কলিংয়ের ফিচারও দেওয়া হচ্ছে।
স্যাটেলাইট কানেক্টিভিটি কী
ইনফিনিক্সের তরফ থেকে দাবি করা হয়েছে, তারা একটি নিজস্ব স্যাটেলাইট কানেক্টিভিটি সলিউশন তৈরি করতে পেরেছে। সেই পরিষেবার দ্বারা মোবাইল নেটওয়ার্ক নেই এমন জায়গাতেও ফোন কল করা যাবে, এমনকি ইন্টারনেটও ব্যবহার করা যাবে জরুরি ভিত্তিতে। লো আর্থ অরবিট স্যাটেলাইট নেটওয়ার্ক কাজে লাগিয়ে এই পরিষেবা পাওয়া যাবে। এটি অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে বার্তা প্রেরণ করতে পারবে, প্রতি সেকেন্ডে একটা করে মেসেজ পাঠানো যাবে।
ফোনটি ইতালির পাশাপাশি বিশ্বের অন্যান্য প্রান্তের দেশগুলোর জন্য লঞ্চ করার পরিকল্পনা করছে ইনফিনিক্স। মনে করা হচ্ছে, ২০২৪ সালের মাঝামাঝি সময় এই ফোনটি বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে লঞ্চ করে যাবে।