ফিনল্যান্ডের জনপ্রিয় হ্যান্ডসেট নির্মাতা প্রতিষ্ঠান নকিয়া। বর্তমানে এইচএমডি গ্লোবালের মালিকানায় ব্যবসা পরিচালনা করছে। প্রতিষ্ঠানটির সিইও এবং চেয়ারম্যান জিন-ফ্রাঙ্কোইস বারিল সম্প্রতি জানিয়েছেন নকিয়া ব্যতিরেকে একটি স্বতন্ত্র স্মার্টফোন ব্র্যান্ড হিসেবে কোম্পানিকে প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে। অর্থাৎ, এবার আর নকিয়া স্মার্টফোন পাওয়া যাবে না, সেই ফোনগুলোই এবার বাজারে এইচএমডি গ্লোবাল নামেই লঞ্চ করা হবে।
এখন নকিয়া ফোন বাজারে পাওয়া যায় ঠিকই। কিন্তু নকিয়া আর তাদের ফোন তৈরি করে না। এই ব্র্যান্ডের লাইসেন্স এখন এইচএমডি গ্লোবালের হাতে।। বিগত বেশ কিছু বছর ধরে নকিয়া ফোনগুলো তৈরি করছে এইচএমডি গ্লোবাল। একাধিক পুরনো ফোন তারা বাজারে নতুন মোড়কে নিয়ে এসেছে। আবার, একাধিক নতুন ফোনও নকিয়া ব্র্যান্ডিংয়ে তৈরি করেছে সংস্থাটি। কিন্তু এর মধ্যেই নকিয়া ব্র্যান্ড ভক্তদের জন্য খানিক অস্বস্তির খবর হাজির হয়েছে।
লিঙ্কডইনে এইচএমডির কর্ণধার বারিল লিখেছেন, ‘আমরা একটি আসল এইচএমডি ব্র্যান্ড প্রতিষ্ঠা করছি। আপনি এইচএমডি ব্র্যান্ডেড মোবাইল ডিভাইসের একটি নতুন পোর্টফোলিও, সেই সঙ্গে নকিয়া ডিভাইস এবং এক্সাইটিং নতুন পার্টনারদের সঙ্গে সহযোগিতার আশা করতে পারেন।’
অন্য আর একটি রিপোর্টে আবার বলা হয়েছে, ইউপো ফাইলিং থেকে আগেই ইঙ্গিত মিলেছিল এই ঘোষণা এইচএমডিই করতই। অর্থাৎ পূর্বপরিকল্পনা অনুসারেই এমনটা করছে এইচএমডি গ্লোবাল। প্রথমে নকিয়া ব্র্যান্ডের ছাতার তলায় এইচএমডি গ্লোবালের পরিচিতি তৈরি করা এবং পরবর্তীতে এইচএমডি গ্লোবালকে একটি স্বতন্ত্র স্মার্টফোন ব্র্যান্ড হিসেবে তুলে ধরা।
২০১৭ সালে এইচএমডি গ্লোবাল সর্বপ্রথম নকিয়া ব্র্যান্ডেড স্মার্টফোন লঞ্চ করে। সেই সময়েই আগমন হয় নকিয়া ৬ মডেলের
নকিয়ামব এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, এইচএমডি তাদের নিজস্ব আরঅ্যান্ডডি সেটআপ করেছে, সফটওয়্যার, ডিস্ট্রিবিউশন এবং অপারেশনাল নেটওয়ার্কও তৈরি করেছে, যা ব্র্যান্ডের বৃদ্ধির পথ প্রশস্ত করেছে। আর এইচএমডি গ্লোবালের এহেন পদক্ষেপ তাদের প্রস্তুতি নেওয়ার বিষয়টিই প্রতিফলিত করে। কারণ, এইচএমডির সঙ্গে নকিয়া লাইসেন্সিং চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছে ২০২৬ সালে এবং তারপরে সংস্থাটি হয়তো অন্য কোনও পার্টনারের সন্ধান করবে।