গেমিং খাতের সঙ্গে এর বিভিন্ন যন্ত্রাংশের জনপ্রিয়তা ও চাহিদা প্রতিনিয়ত বাড়ছে। বর্তমানে বিভিন্ন প্রযুক্তি কোম্পানি গেমারদের জন্য বিবিধ পণ্য তৈরি করছে। যার মধ্যে স্মার্টফোন, কিবোর্ড, মাউস ও হেডফোন রয়েছে। এগুলো ছাড়াও মনিটর অন্যতম। মনিটরের বৈশ্বিক বাজারে এসার, শাওমি, এওসি ও আসুস শীর্ষে থাকার প্রতিযোগিতা করছে। সম্প্রতি এ-সংক্রান্ত এক জরিপ পরিচালনা করেছে রুন্টো।
রুন্টোর জরিপের বরাতে গিজমোচায়নায় প্রকাশিত খবরের তথ্যানুযায়ী, বিশ্ববাজারে শীর্ষ তিনে রয়েছে এওসি, এইচকেসি ও টাইটাস গেমিং। ষষ্ঠ অবস্থান থেকে বড় অর্জনের মাধ্যমে চতুর্থ স্থানে এসেছে শাওমি। মূলত পি২৭কিউবিসি-আরজি ও এ২৪এফএএ-আরজি মডেল প্রবৃদ্ধিতে ভূমিকা রেখেছে। বৈশ্বিক পর্যায়ে চীন অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বাজার। বিপুল জনসংখ্যা ও প্রযুক্তিতে আগ্রহ থাকায় অনেক কোম্পানি এখানকার বাজার লক্ষ্য করে কার্যক্রম পরিচালনা করে। প্রতিবেদনের তথ্যানুযায়ী, চলতি বছরের আগস্টে চীনের অনলাইন গেমিং মনিটর বাজার শক্তিশালী প্রবৃদ্ধি দেখতে পেয়েছে। সেখানে মনিটর বিক্রির পরিমাণ ৩ লাখ ৫২ হাজার ইউনিট ছাড়িয়েছে। বছরওয়ারি হিসেবে তা ৩৬ এবং মাসওয়ারি ১২ শতাংশ বেড়েছে।
রুন্টোর জরিপ ও প্রতিবেদনের তথ্যানুযায়ী এওসি শীর্ষে রয়েছে। তবে বছরওয়ারি হিসেবে কোম্পানির পণ্য বিক্রি বা জাহাজীকরণ বেড়েছে মাত্র ৫ শতাংশ।
এওসির বিক্রি বেশি না বাড়লেও সেদিক থেকে এইচকেসির জাহাজীকরণ দ্বিগুণ বেড়েছে। বছরওয়ারি হিসেবে এ হার ১০০ শতাংশ। টাইটান গেমিংয়েরও বছরওয়ারি বিক্রি ২৬ শতাংশ বেড়েছে। সহজলভ্যতা ও দামের ব্যাপারে সচেতন হওয়ায় শাওমি শীর্ষ চারে জায়গা করে নিতে পেরেছে বলে মনে করছেন প্রযুক্তিবিশারদরা। অন্য প্রতিযোগীদের তুলনায় শাওমি কম দামে মনিটর সরবরাহ করে থাকে। কিন্তু পারফরম্যান্স ও ফিচারের দিক থেকে দামি মনিটরের মতোই সুবিধা দিয়ে থাকে।
শাওমির পি২৭কিউবিসি-আরজি একটি ২৭ ইঞ্চির কিউএইচডি মনিটর। যার রিফ্রেশ রেট ১৬৫ হার্টজ এবং রেসপন্স টাইম ১এমএস। অন্যদিকে এ২৪এফএএ-আরজি ২৪ ইঞ্চির এইচডি মনিটর, যার রিফ্রেশ রেট ১৪৪ হার্টজ। এর রেসপন্স টাইমও ১এমএস। দুটি মডেলই ২ হাজার ইউয়ান বা ৩০০ ডলারের কমে পাওয়া যায়। বর্তমানে গেমিং খাতে বড় ডিসপ্লের চাহিদা প্রতিনিয়ত বাড়ছে। এর মধ্যে ২৭ ইঞ্চির মনিটর বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। বিশ্লেষক ও সংশ্লিষ্টদের আশা সামনের বছরগুলোয় চীনের গেমিং মনিটর বাজার আরো বাড়বে।