অ্যান্ড্রয়েড ফোনে ভূমিকম্প সতর্কতা (অ্যালার্ট) ফিচারের সুবিধা দেয় গুগল। ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকার মানুষদের আগে থেকে সতর্ক করে এই ফিচার। অ্যান্ড্রয়েড ৫ ও এরপরের ভার্সনগুলোতে ফিচারটি পাওয়া যায়।
এই সার্ভিসটি বিনামূল্যে ব্যবহার করা যায় ও সমগ্র বিশ্বের ভূমিকম্প চিহ্নিত করে অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীদের ফোনে অ্যালার্ট পাঠায়।
ফিচারটি আপনার ফোনে যেভাবে চালু করবেন তার ধাপগুলো গেজেডটস নাও–এর প্রতিবেদন অনুসারে উল্লেখ করা হল–
ফিচারটি ব্যবহারের জন্য যা যা লাগবে–
১. স্মার্টফোনের অ্যান্ড্রয়েড ৫ বা এরপরের ভার্সনগুলোতে ফিচারটি ব্যবহার করা যাবে।
২. ফোনে সেলুলার বা ওয়াইফাইয়ের মাধ্যমে ইন্টারনেট সংযোগ সচল থাকতে হবে।
অ্যান্ড্রয়েডে যেভাবে অ্যালার্টটি চালু করবেন
১. প্রথমেই ফোনের সেটিংস অপশনে গিয়ে লোকেশন সার্ভিস চালু করতে হবে। এর ফলে গুগল আপনার লোকেশন জানতে পারবে এবং এর মাধ্যমে সেই অঞ্চলে কোনো ভূমিকম্প হওয়ার সম্ভাবনা থাকলে আগে থেকেই অ্যালার্ট দিবে।
২. এরপর ফোনের ভূমিকম্প অ্যালার্ট সিস্টেমটি সচল করতে হবে। এ জন্য সেটিংসে গিয়ে ‘সেফটি অ্যান্ড ইমার্জেন্সি’ অপশনে ট্যাপ করতে হবে এবং সেখান থেকে ভূমিকম্প অ্যালার্ট নির্বাচন করে টোগল বাটনটি চালু করতে হবে।
অ্যালার্ট সিস্টেমটি চালু হলে ডিভাইসে ভূমিকম্পের আপডেট আসতে থাকবে। তবে ফিচারটি দুই ধরনের অ্যালার্ট থাকবে–‘বি অ্যাওয়ার’ (সতর্কতা অবলম্বনের জন্য) ও ‘টেক–অ্যাকশন’ (পদক্ষেপ গ্রহণ) অ্যালার্ট।
বি অ্যাওয়ার অ্যালার্ট বা সতর্ক থাকার অ্যালার্ট
এই অ্যালার্টের মাধ্যমে ডিভাইসে স্বল্প মাত্রার ভূমিকম্পের নোটিফিকেশন দেখা যাবে এবং ‘মোর ইনফরমেশনে’ ট্যাপ করলে এ সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য জানা যাবে। নোটিফিকেশনটি শুধুমাত্র সেই ব্যবহারকারীদের পাঠানো হবে, যারা ৪ দশমিক ৫ বা তার বেশি মাত্রার ভূমিকম্পের অঞ্চলে থাকবে এবং এমএমআই স্কেলে তীব্রতা ৩ বা ৪ হবে। ফোনের ভলিউম, ভাইব্রেশন ব্যবহার করে এই অ্যালার্ট জানানো হবে।
টেক অ্যাকশন অ্যালার্ট বা পদক্ষেপ গ্রহণের অ্যালার্ট
মাঝারি থেকে উচ্চ মাত্রার ভূমিকম্পে ব্যবহারকারীর সুরক্ষায় পদক্ষেপ নিতে এই অ্যালার্ট দেওয়া হবে। ৪ দশমিক ৫ বা তার চেয়ে বেশি মাত্রার এবং এমএমআই স্কেলে তীব্রতা ৫ বা তার বেশি হলে এই অ্যালার্ট দেওয়া হবে। ফোনের ‘ডু নট ডিস্টার্ব’ ফিচারটি বন্ধ করে পুরো স্ক্রিন জুড়ে এই নোটিফিকেশন দেখা যাবে। সেই সঙ্গে ফোনে উচ্চ স্বরে রিংটোন বা নোটিফিকেশন সাউন্ড বাজবে।