চীনের সঙ্গে বিদ্যমান সম্পর্ক নিয়ে কড়া সমালোচনার মধ্যে রয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। এ অবস্থায় নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করতে অর্থনৈতিক সংকট নিরসন এবং প্রযুক্তি খাতে গুপ্তচরবৃত্তি রোধে নতুন উদ্যোগ নিয়েছে তারা।
ইউরোপিয়ান কমিশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট ভেরা জোরোভা জানান, ভূরাজনৈতিক পর্যায়ে প্রতিযোগিতার মূল হচ্ছে প্রযুক্তি। এক্ষেত্রে ইইউ প্রতিযোগিতার ক্ষেত্র না হয়ে অন্যতম প্রতিযোগী হয়ে উঠতে চায়।
সদস্যদেশগুলোর মধ্যে অনেকেই সংবেদনশীল বা জরুরি শিল্প খাতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই), কোয়ান্টাম প্রযুক্তি, বায়োটেকনোলজি ও অ্যাডভান্সড সেমিকন্ডাক্টর ফ্যাব্রিকেশন ব্যবহার করছে। খাত অনুযায়ী ঝুঁকি পর্যালোচনার জন্য দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে কমিশন। ঝুঁকিতে থাকা শিল্প খাতগুলোকে সর্বোচ্চ সুরক্ষা দেয়া হবে। কেননা এসব খাত প্রযুক্তির নিরাপত্তা বেহাত হওয়ার মাধ্যম হিসেবে পরিচিত।
ইইউ কোনো একটি দেশকে এ নির্দেশনা দেয়নি। বরং বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রে আরো সতর্ক অবস্থান নিশ্চিতের আহ্বান জানিয়েছে। কেননা এগুলোর মাধ্যমে জাতীয় নিরাপত্তায় ব্যাঘাত তৈরি সম্ভব।
ইইউর অভ্যন্তরীণ বাজারের কমিশনার থিয়েরি ব্রেটন জানান, চীনকে লক্ষ্য করে এসব সিদ্ধান্ত বা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়নি। সামগ্রিকভাবে বৈশ্বিক পর্যায়ে নিরাপত্তা ঝুঁকি কমানোর জন্য এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ‘ইইউ সবার সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখার মাধ্যমে ঝুঁকির হার কমাতে চায়।’