প্রযুক্তিগত উন্নয়নে স্মার্টফোনই হয়ে উঠেছে প্রফেশনাল ফটোগ্রাফির অন্যতম মাধ্যম। তবে দিনের বেলায় ভালো ছবি তোলা সম্ভব হলেও রাতের আধাঁরে কিংবা মেঘাচ্ছন্ন পরিবেশে ছবি তোলার ক্ষেত্রে আলো নিয়ে বেশ বিড়ম্বনায় পড়তে হয় ফটোগ্রাফারকে।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কম আলোতে ছবি তুললে ছবি কালো হয়ে যায়, ব্লার হয়ে যায় কিংবা নয়েজ আসে। আবার ফ্ল্যাশ লাইটের তীব্র সাদা আলো বিষয়বস্তুকে হাইলাইট করায় প্রকৃত রঙ আর ডিটেইলস নষ্ট হয়। ফলে ছবির মান খারাপ হওয়ায় এমন সময় ফটোগ্রাফিতে হতাশ হন অনেকেই।
আলোর জটিলতা দূর করতে গ্লোবাল স্মার্টফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ভিভো নিয়ে এসেছে অরা লাইট প্রযুক্তি। অরা লাইট হলো ভিভোর এক্সক্লুসিভ পোর্ট্রটে এলগরিদম যা স্বয়ংক্রিয়ভাবে কাজ করতে সক্ষম। চলুন, এবার দেখি অরা লাইট কেন ফ্লাশ লাইটের চেয়ে সেরা।
ফ্ল্যাশ লাইট থাকে একটি এলইডি লাইট যা তীব্র সাদা আলো দিয়ে বিষয়বস্তুকে দৃশ্যমান করে। ফলে বিষয়বস্তু ব্যক্তি হলে তার মুখে তেলতেলে ভাব কিংবা স্কিনকে অতিরিক্ত উজ্জ্বল দেখায়। অন্যদিকে অরা লাইটে থাকে তিনটি লাইট যা তীব্র আলোর পরিবর্তে নরম আলো দিয়ে বিষয়বস্তুর প্রকৃত কালার, টোন তুলে ধরে।
ফ্ল্যাশ লাইট অন্ধকারের মধ্যে একটা নির্দিষ্ট স্থানে আলো ছড়ায়। এটি আলোর তাপমাত্রা পরিমাপ করতে পারে না। এমনকি স্বয়ংক্রিয়ভাবে কোথায় কেমন আলো প্রয়োজন তা ঠিক করে সঠিক আলো দিতে পারে না। অরা লাইট প্রয়োজনীয় বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে বিষয়বস্তুতে আলোর তারতম্য পরিমাপ করে। এমনকি কম আলো বা অন্ধকারেও ছবির বিষয়বস্তুতে আলোর তাপমাত্রা কত ক্যালভিন তা পরিমাপ করতে পারে এই লাইট। তারপর আলোর তাপমাত্রা অনুযায়ী প্রয়োজনে আলো দিয়ে সঠিক কালার টোন বজায় রাখে।
রাতে অনেক রঙের আলোর ব্যাকগ্রাউন্ডে ছবি তোলার সময় অরা লাইট বিষয়বস্তুর উপর এমন আলো দেবে যা কালারফুল ব্যাকগ্রাউন্ডের সাথে চমৎকার মানিয়ে যায়। এই লাইটের কল্যাণে বিষয়বস্তুর প্রতিটি ডিটেইলস ক্যামেরায় ধরা দেয়।
ভিভো সূত্র থেকে জানা যায়, অরা লাইটকে আরো স্মার্ট, আরো পোর্ট্রেট ফটোগ্রাফি উপযোগী করার জন্য গবেষণা করা হয়েছে। আগামী ভি সিরিজের স্মার্টফোনে অরা লাইট যেমন স্বয়ংক্রিয়ভাবে কাজ করে প্রয়োজনীয় আলো সরবরাহ করবে। তেমনি ব্যক্তি ইচ্ছে করলেই কুল লাইট থেকে ওয়ার্ম লাইটে পরিবর্তন করতে পারবে। যা দেবে অনেকটা স্টুডিও লেভেল ফটোগ্রাফির অনুভূতি।