বিশ্বজুড়ে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে ব্যয় বাড়ছে। বিভিন্ন দেশ ও কোম্পানি এ খাতে নিজেদের শক্তিশালী অবস্থান তৈরিতে বিনিয়োগ অব্যাহত রেখেছে। আগামী বছর নাগাদ এ ব্যয় ৫ দশমিক ১ ট্রিলিয়ন ডলার ছাড়াবে। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠান গার্টনারের এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এমন তথ্য।
প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি বছর তথ্যপ্রযুক্তি খাতে ব্যয়ের হার ৮ শতাংশ বাড়বে। এর মধ্যে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) খাতে ব্যয় চলতি ও আগামী বছর কম থাকবে।
গার্টনারের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও বিশ্লেষক জন ডেভিড লাভলক বলেন, ‘প্রতিষ্ঠানগুলো এআই ও অটোমেশনের মাধ্যমে কার্যক্ষমতা বাড়াতে বিনিয়োগ অব্যাহত রেখেছে। পাশাপাশি তথ্যপ্রযুক্তি খাতে যে মেধাশূন্যতা রয়েছে তা পূরণের চেষ্টা করছে।’
তিনি বলেন, জেনারেটিভ এআই নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়েছে। বলা হচ্ছে, এটি বিনিয়োগ বাড়ানোর ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলছে। কোম্পানিগুলোর প্রধান তথ্য কর্মকর্তারা অনুধাবন করছেন যে এআই প্রকল্পগুলো ভবিষ্যতের জন্য সহায়ক হবে।
নতুন প্রতিবেদন প্রকাশের আগে এক জরিপে গার্টনার জানিয়েছিল, জেনারেটিভ এআই এখন বেশি প্রাধান্য পাচ্ছে। মূলত চ্যাটজিপিটির মাধ্যমে বিষয়টি সামনে এসেছে। বিশ্লেষকদের মতে, আগামী দুই থেকে পাঁচ বছরের মধ্যে এ প্রযুক্তি উল্লেখযোগ্য সুবিধা নিশ্চিত করবে। এরপর হয়তো এর প্রয়োজনীয়তা কিছুটা কমে আসবে। ট্রান্সফরম্যাশনাল বেনিফিটস বা রূপান্তমূলক সুবিধা শিল্প-কারখানার গতিশীলতায় পরিবর্তন আনবে।
জেনারেটিভ এআই এখনো সেভাবে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের ব্যয়ে প্রভাব ফেলেনি। আগামী বছর এ খাতের ব্যয়ে নেতৃত্ব দেবে সফটওয়্যার। এ সময় এ খাতে ব্যয় ১৪ শতাংশ বেড়ে এক ট্রিলিয়ন ডলার ছাড়াবে। তথ্যপ্রযুক্তি পরিষেবা খাতও দুই অঙ্কের প্রবৃদ্ধি দেখতে পাবে এবং এটি ১ দশমিক ৫৫ ট্রিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে। এ দুটি খাত মূলত ক্লাউডের মাধ্যমে পরিচালিত হবে। কেননা ২০২৪ সালে পাবলিক ক্লাউড পরিষেবায় ব্যয় ২০ দশমিক ৪ শতাংশ বাড়বে। ডাটা সেন্টার সিস্টেম, ডিভাইস ও কমিউনিকেশন পরিষেবা খাত যথাক্রমে ৯ দশমিক ৫, ৪ দশমিক ৮ ও ৩ দশমিক ৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করবে। এর মধ্যে কমিউনিকেশন পরিষেবা খাতের মূল্য ১ দশমিক ৫ ট্রিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে বলে গার্টনারের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
লাভলক বলেন, ‘সাইবার নিরাপত্তায় ব্যয়ের কারণে সফটওয়্যার খাত আরো এগিয়ে থাকবে। কেননা এআইয়ের কারণে কোম্পানিগুলো নিরাপত্তা নিয়ে নতুন উদ্বেগের মধ্যে রয়েছে।’ আরেক গবেষণায় গার্টনার জানিয়েছে, ২০২৪ সাল থেকে সাইবার ও তথ্য সুরক্ষায় বিনিয়োগ বাড়ানোর কথা ভাবছেন ৮০ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের প্রধান তথ্য কর্মকর্তা।