স্মার্টফোনের সঙ্গে বর্তমানে স্মার্ট ওয়্যারেবল ডিভাইসের চাহিদাও বাড়ছে। নিত্যদিনের সঙ্গী হিসেবে এসব গ্যাজেট গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। তবে এসব ডিভাইসের চার্জ ধারণক্ষমতা তুলনামূলক কম। তাই কোনো ডিভাইসের চার্জ শেষ হয়ে গেলে সে সময় রিভার্স ওয়্যারলেস চার্জিং সহায়তা করবে।
কোনো কেবল, অ্যাডাপ্টর বা কর্ড ছাড়াই স্মার্টফোনের মাধ্যমে ইয়ারবাড চার্জ করে নেয়া যাবে। বাংলাদেশে রিভার্স ওয়্যারলেস চার্জিং প্রযুক্তি এর আগে কেবল ফ্ল্যাগশিপ ফোনেই দেখা যেত। কিন্তু সম্প্রতি ইনফিনিক্স নোট ৩০ প্রো বাজারে আসার পর এ ফিচার আবার আলোচনায় উঠে এসেছে। মাঝারি বাজেটের সেলফোনের মধ্যে ইনফিনিক্স নোট ৩০ প্রোতেই রিভার্স ওয়্যারলেস প্রযুক্তি আছে।
রিভার্স চার্জিং মূলত কাজ করে বাইডিরেকশনাল চার্জিং সার্কিট্রি প্রযুক্তি ব্যবহার করে। এ প্রক্রিয়ায় শক্তি উভয় দিকেই যাতায়াত করতে পারে। অর্থাৎ রিভার্স চার্জিং ফিচারটি চালু থাকলে ডিভাইসটি শুধু শক্তি গ্রহণই করে না, অন্যান্য ডিভাইসে শক্তি সরবরাহও করে। আবার ওয়্যারলেস চার্জিং প্রযুক্তি বিদ্যুৎ চৌম্বকীয় ক্ষেত্রকে (ইলেকট্রোম্যাগনেটিক ফিল্ড) ব্যবহার করে চার্জিং পড থেকে ডিভাইসে শক্তি স্থানান্তর করে। অর্থাৎ চার্জিং পডের ওপর ডিভাইসটি রাখলে চুম্বকের মাধ্যমে শক্তি স্থানান্তরিত হয়।
সুতরাং রিভার্স ওয়্যারলেস চার্জিংয়ের ক্ষেত্রে স্মার্টফোনটি নিজেই চার্জিং পড হিসেবে কাজ করে। এ পাওয়ার শেয়ারিং পদ্ধতিটি প্রচলিত প্রক্রিয়া থেকে ভিন্ন। বর্তমানে স্মার্টফোন, স্মার্টওয়াচ, হেডফোন, ইয়ারবাডের মতো অনেক পণ্যেই এখন ওয়্যারলেস চার্জিং ব্যবহৃত হয়। তাই রিভার্স ওয়্যারলেস চার্জিং প্রযুক্তিসম্পন্ন স্মার্টফোন থাকলে এ গ্যাজেটগুলোর চার্জ নিয়ে আমাদের অনাকাঙ্ক্ষিত সংকটে পড়তে হবে না।
রিভার্স ওয়্যারলেস চার্জিং প্রযুক্তি ব্যবহার করলে ফোনের চার্জ কমবে সেটাই স্বাভাবিক। তবে ৫ হাজার মিলি অ্যাম্পিয়ার আওয়ারের ব্যাটারি এবং ৬৫ ওয়াট ওয়্যারড চার্জিং অ্যাডাপ্টার থাকলে সেটা খুব বেশি সমস্যা হওয়ার কথা নয়। এমন সক্ষমতা থাকলে ফোন ৩০ মিনিটেই ৮০ শতাংশ পর্যন্ত চার্জ হয়ে যায়।