নীলফামারীর ডোমার উপজেলায় বয়স্ক, বিধবা ও প্রতিবন্ধী ভাতার টাকা মোবাইল সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান নগদ নম্বরে ওটিপি কোড পাঠিয়ে টাকা তুলে নিয়েছে প্রতারকচক্র। প্রতারক চক্রের সঙ্গে সমাজসেবা অফিসের লোকদের যোগসাজোস আছে বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।
রোববার সকাল হতে উপজেলা সমাজ সেবা কার্যালয়ের সামনে ভীড় করে ক্ষোভ প্রকাশ করে ভুক্তভোগীরা।
বয়স্কভাতা সুবিধাভোগী জয়গুন বেগম (৮৫) জানান, তার বয়স্ক ভাতার নম্বরে ফোন দিয়ে বলে সমাজ সেবা অফিস থেকে মিজানুর রহমান বলছি। আপনার বয়স্ক ভাতার সমস্যা হয়েছে। আপনার মোবাইলে একটি ওটিপি কোড গেছে। সেটা বলুন আমি ঠিক করে দিচ্ছি। কোড নম্বর বলার সঙ্গে সঙ্গে নগদ হতে সব টাকা চলে যায়। আর যেই নম্বর থেকে ফোন আসছে সেটাও বন্ধ হয়ে যায়। তিনি অভিযোগ করেন, প্রতারকরা তালিকা কোথায় পেল? নিশ্চই অফিসের লোকজন জড়িত।
পৌরসভার সবুজপাড়া এলাকার মল্লিকা বেগম বলেন, আমার নানী ফিরোজা বেগমের বয়স্ক ভাতার টাকা মোবাইল ফোন করে তুয়ে নেয় প্রতারকচক্র। আমি নানীকে নিয়ে রোববার (২২ অক্টোবর) দুপুরে ডোমার সমাজ সেবা কার্যালয়ে আসলে অফিস সহায়ক আবু সুফিয়ান পিন কোড বদল করে দিয়ে একশত টাকা চায়। আমি ৫০ টাকা দেই। পরে সাংবাদিক দেখে সেই টাকা ফেরত দেয়।
একই এলাকার সাগর ইসলাম বলেন, আমার দাদীর টাকা চলে যাওয়ায় সমাজ সেবা অফিসে যাই। সেখানে এক শত টাকা ছাড়া পিন নম্বর বদল করে দিবে না। ভাতার টাকাও পেল না আমার দাদি। আবার পিন নম্বর বদল করতে একশত টাকা দিতে হল।
ডোমার উপজেলা সমাজ সেবা কর্যালয়ের অফিস সহায়ক আবু সুফিয়ান বলেন, প্রতারকরা সব টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। আর আমরা অফিসের লোকজন ২০ টাকা ৫০ টাকা নিলেই যত দোষ।
সাংবাদিক অফিসে দেখে সটকে পড়েন উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা মো. ফিরোজুল ইসলাম। তার মোবাইল ফোনটিও বন্ধ পাওয়া যায়।
উপজেলা সহকারী সমাজ সেবা কর্মকর্তা মো. রাশেদ মাহমুদ বলেন, অফিসে অনেকে টাকা প্রতারণার অভিযোগ নিয়ে এসেছে। ভাতার সুবিধাভোগীদের তালিকা সমাজ সেবা অফিসা ছাড়াও নগদের কাছে আছে।
ডোমার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমুল আলম বিপিএএ বলেন, প্রতারক চক্রের সঙ্গে যেই জড়িত হোক তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কেউ ফোন দিলে যেন ওটিপি কোড না দেয় এ জন্য সচেতনতা তৈরি করা হবে।