সন্ত্রাসবাদ সম্পর্কিত বিষয়বস্তুর বিরুদ্ধে খুবই কঠোর অবস্থানে রয়েছে ইউটিউব। গুগলের মালিকাধীন এই ভিডিও স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মটি প্রতিনিয়ত আপলোড হওয়া ভিডিওগুলো পর্যালোচনা করে যে এর মধ্যে সন্ত্রাসবাদ ছড়ানোর মতো কোনো ভিডিও রয়েছে কিনা।
২০১৯ সালের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) ইউটিউব এক মিলিয়নেরও বেশি সন্দেহভাজন ভিডিওর উপর পর্যালোচনা চালায়। আর এতে দেখা যায় ৯০,০০০ ভিডিও ইউটিউবের সন্ত্রাসবাদ নীতিমালা লঙ্ঘন করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটির হাউস কমিটির কাছে পাঠানো এক চিঠিতে গুগল দাবি করেছে, কোম্পানিটি তাদের কন্টেন্ট পর্যালোচনা করার জন্য প্রতি বছর লাখ লাখ ডলার ব্যয় করছে।
তবে হাউস প্যানেল এর কাছে এটিই প্রতিয়মান হয়েছে যে, প্রযুক্তি কোম্পানিগুলো সন্ত্রাসবাদমূলক কন্টেন্টের সঙ্গে লড়াইয়ের ক্ষেত্রে অনুরোধকৃত তথ্য সরবরাহ করতে ব্যর্থ হয়েছে। এমনকি ফেসবুক এখনও পর্যন্ত এ অনুরোধের প্রতিক্রিয়ায় কিছু জানায়নি।
হাউস প্যানেল এক বিবৃতিতে বলেন, আমরা নিউজিল্যান্ডে দেখেছি ফেসবুক সন্ত্রাসবাদমূলক কন্টেন্ট প্রতিরোধে ব্যর্থ হয়েছে। এই প্ল্যাটফর্মগুলো জনগণের জীবনে আরো বেশি সর্বজনীন হয়ে উঠছে। জনগণের প্রতি তাদের একটি বাধ্যবাধকতা রয়েছে। তাদের এটি নিশ্চিত করতে হবে যে, তারা এই নিষ্ঠুর কন্টেন্টগুলোর বিস্তার বন্ধ করার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করছে।
বেশ কয়েক বছর ধরেই ফেসবুক, ইউটিউব, টুইটার সহ বিশ্বের বড় বড় প্রযুক্তি কোম্পানিগুলো সন্ত্রাসবাদ ছড়ানো অভিযোগে অভিযুক্ত হয়ে আসছিল। অভিযোগ ছিল এই প্ল্যাটফর্মগুলো সন্ত্রাসবাদ এবং হিংসাত্মকমূলক কন্টেন্টের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হয়েছে। তথ্যসূত্র : গ্যাজেটস নাউ