নকিয়া ২০৩০ সালে ভবিষ্যৎ এর জন্য তার পরিকল্পনার কথা বলছে। তারা বিশ্বাস করে যে, প্রযুক্তি ততদিনে অনেক বদলে যাবে। এআই, ক্লাউড এবং উন্নত যোগাযোগের মতো বিষয় খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। AI, বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিষয়গুলোকে আরও ভালভাবে কাজ করতে সাহায্য করবে, বিশেষ করে স্বাস্থ্যসেবার মতো ক্ষেত্রে।
ক্লাউড, যা অনলাইনে তথ্য সংরক্ষণ এবং ব্যবহার করার প্রবণতা আরও বৃদ্ধি পাবে। ব্যবসা কীভাবে কাজ করবে তার অনেক কিছুতে পরিবর্তনে আসবে। সবকিছু আগের থেকেওে মসৃণ হয়ে যাবে। মানুষ, কম্পিউটার এবং ফিজিকাল ম্যাটারস এর মতো বিভিন্ন জিনিসের মধ্যে সংযোগ আরও ভাল হবে। নকিয়া এর Beyondn নামে একটি নতুন প্ল্যান রয়েছে, যা AI, ক্লাউড এবং কানেক্টিভিটির উপর ফোকাস করে। তারা এমন একটি নেটওয়ার্ক তৈরি করতে চায় যা কম্পিউটার অপারেটিং সিস্টেমের মতো কাজ করে।
নকিয়ার প্রযুক্তি কৌশল ২০৩০ একটি গাইডের মতো কাজ করে যা আগামী বছরগুলিতে কী হতে যাচ্ছে সে সম্পর্কে কথা বলে। এটি কোম্পানিগুলিকে এই পরিবর্তনগুলির জন্য প্রস্তুত হতে সাহায্য করে। কিছু রিপোর্ট অনুযায়ী, AI ২০৩০ সালের মধ্যে বিভিন্ন শিল্পে প্রায় ৪৫০ বিলিয়ন ডলার নিয়ে আসবে। অনেক কোম্পানি ক্লাউডে আরও বিনিয়োগ করছে।
নোকিয়ার নতুন প্ল্যানটির নাম Beyondn, এবং এটি AI, ক্লাউড এবং কানেক্টিভিটির উপর ফোকাস করে। তারা এমন একটি নেটওয়ার্ক তৈরি করতে চায় যা কম্পিউটার অপারেটিং সিস্টেমের মতো কাজ করে। নোকিয়ার পরিকল্পনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ হবে এরকম অনেক কিছুর তালিকাও দেওয়া হয়েছে।
এর মধ্যে এআই, ক্লাউড, মেটাভার্স (একটি ভার্চুয়াল ওয়ার্ল্ড), API ইকোনোমি (বিভিন্ন সফ্টওয়্যার একসাথে কাজ করার উপায়), ইন্ডাস্ট্রি 5.0 (শিল্পে কাজের ধরনে নয়া পরিবর্তন, ইন্টারনেট অফ ভ্যালু (ইন্টারনেটকে আরও বেশি করে গুরুত্বপূর্ণ ও দরকারী করবে) স্থায়িত্ব ( পরিবেশের জন্য ভাল হবে তা খেয়াল রাখা) এবং নিরাপত্তা। নোকিয়া বিশ্বকে পরিবর্তন করতে কী করবে দা দেখার অপেক্ষায় সবাই।