প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সেলফোনের ব্যবহার বন্ধে নতুন শিক্ষা আইন পাস করেছে রাশিয়ান স্টেট ডুমা। আইনের তথ্যানুযায়ী, সব স্কুলে সেলফোনসহ যোগাযোগের জন্য ব্যবহৃত সব টুল ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হবে। আগামী বছরের ১ সেপ্টেম্বর থেকে আইনটি কার্যকর হবে। খবর গিজচায়না।
নিউজিল্যান্ডও একই ধরনের নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করার পর রাশিয়া নতুন এ আইন পাসের উদ্যোগ নেয়। শুধু পাঠদান বা জরুরি অবস্থায় সেলফোন ব্যবহারের অনুমতি দেয়া হবে। তবে স্কুলগুলো এ বিষয়ে অভিভাবকদের সঙ্গে আরো বিশদ আলোচনা করবে বলে জানানো হয়েছে। শিক্ষা আইনটিতে বলা হয়, স্কুলের পাঠ কার্যক্রমে পুনরায় শ্রম দক্ষতার বিষয় বাধ্যতামূলকভাবে যুক্ত করা হবে।
গত বছর রাশিয়া কম বয়সী শিক্ষার্থীদের ক্লাসের সময় সেলফোন ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছিল। দেশটির সংবাদ সংস্থা তাসের প্রতিবেদন সূত্রে এ তথ্য জানা যায়। দেশটির শিক্ষামন্ত্রী সেরগেই ক্রাভটসভ জানিয়েছিলেন, সেলফোন ব্যবহারের কারণে শিক্ষার্থীরা শিক্ষা কার্যক্রম থেকে বিচ্যুত হয়।
নিউজিল্যান্ডের নতুন প্রধানমন্ত্রী তার শাসনকালের প্রথম ১০০ দিনের মধ্যে স্কুলে সেলফোন নিষিদ্ধের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে। এ পদ্ধতিতে শিক্ষার্থীদের দিনের শুরুতে তাদের সেলফোন জমা করবে এবং দিন শেষে সেগুলো সংগ্রহ করে নেবে।
তিনি জানান, শিক্ষার্থীদের কাছে সেলফোন না থাকলে শিক্ষা কার্যক্রমে মনোযোগ বাড়বে। তবে এর বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়াও এসেছে। সেলফোন ব্যবহার নিষেধাজ্ঞার প্রধান কারণ হিসেবে দেশটির সাক্ষরতা হার বাড়ানোকে কারণ হিসেবে দেখানো হয়েছে। হরিজন রিসার্চের এক জরিপ অনুযায়ী, ৫৬ শতাংশ অংশগ্রহণকারী সারা দিন স্কুলে থাকা অবস্থায় সেলফোন ব্যবহার না করার পক্ষে। অন্যদিকে ১৬ শতাংশ জানায় এতে কোনো নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা উচিত নয়।
নিউজিল্যান্ডের ১৫ বছর বয়সী এক-তৃতীয়াংশেরও বেশি মানুষ পড়তে বা লিখতে পারে না। আশা করা হচ্ছে, প্রযুক্তিগত বিভ্রান্তি কমে এলে এ সমস্যার সমাধান হবে। রাশিয়ায়ও একই কারণে সেলফোন ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা আনা হয়েছে।
শিক্ষার্থীরা স্কুল চলাকালীন এখন থেকে আর ফোন ব্যবহার করতে পারবে না। কিছু শিক্ষার্থী যোগাযোগের জন্য তাদের সেলফোনের ওপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল হওয়ায় এ আইন সমস্যার কারণ হবে বলে মনে করছেন অনেকেই। এক্ষেত্রে শিক্ষকদের সতর্কতার সঙ্গে নিষেধাজ্ঞা প্রয়োগ করতে হবে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। এছাড়া অভিভাবকদেরও বিকল্প যোগাযোগ ব্যবস্থা তৈরি করতে হবে। এ নিষেধাজ্ঞার ইতিবাচক দিকগুলোর মধ্যে রয়েছে সাক্ষরতার হার বৃদ্ধি, শিক্ষার্থীদের শিক্ষার মান উন্নয়ন।