অ্যাপলের সর্বশেষ ফোন ছিল আইফোন ১৫। যা গতবছর বাজারে এসেছিল। ইতিমধ্যে প্রতিষ্ঠানটি আইফোন ১৬ বাজারে আনার প্রস্তুতি শুরু করেছে। এই ফোনে থাকতে পারে ৮ জিবি র্যাম, বড় ডিসপ্লে ও ওয়াইফাই ৬ই সাপোর্ট। অ্যাপলের নতুন সিরিজের আইফোনে আর কী কী ফিচার থাকছে জানুন এই প্রতিবেদনে।
আইফোন মানেই বড় চমক। প্রতি বছর নতুন সিরিজ হাজির করে অ্যাপেল। ২০২৩ সালে লঞ্চ হয়েছে আইফোন ১৫ সিরিজ। এবার আসছে আইফোন ১৬। ইতিমধ্যে একাধিক টেক রিপোর্টে ফাঁস হয়েছে ফোনের সম্ভাব্য ফিচার্স।
ম্যাকরুমর্সের রিপোর্ট অনুযায়ী, অ্যানালিস্ট জেফ পু-এর মতে পরবর্তী আইফোন সিরিজে ৮ জিবি ব়্যাম স্ট্যান্ডার্ড ফিচার হিসাবে পাওয়া যাবে। বর্তমানে আইফোন ১৫ মডেলে স্ট্যান্ডার্ড ৬ জিবি ব়্যাম পাওয়া যায়। তিনি দাবি করেছেন, এই সিরিজের সমস্ত ফোনে মাল্টি-টাস্কিংয়ের জন্য উন্নত পারফরম্যান্স ফিচার পাওয়া যাবে।
মূলত, ব়্যাম নিয়ে একটু আলাদা ভাবে অ্যাপেল, আগের স্মার্টফোনগুলো দেখলেই বুঝতে পারবেন। আইফোন এক্সআর মডেলে ছিল ৩ জিবি ব়্যাম, আইফোন এক্সএস-এ ৪ জিবি ব়্যাম, আইফোন ১২-এ ৪ জিবি ব়্যাম এবং আইফোন ১২ প্রো-তে ৬ জিহবি ব়্যাম। অর্থাৎ এই বৈশিষ্ট্যটিকে সংস্থা বেশ প্রাধান্য দেয় তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
৮ জিবি ব়্যাম ছাড়াও আইফোন ১৬ মডেলে বড় ডিসপ্লে থাকছে। থাকবে ওয়াইফাই ৬ই সাপোর্ট। যার ফলে ৬ গিগাহার্জ ব্যান্ড ব্যবহার করা যাবে স্মার্টফোন। বর্তমানে শুধু আইফোন ১৫-এর প্রো মডেলে এই সুবিধা রয়েছে। ম্যাকরুমর্সের রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে এতে মিলতে পারে বড় ৬.৩ ইঞ্চি ডিসপ্লে এবং প্রো মডেলে ৬.৯ ইঞ্চি ডিসপ্লে।
আইফোন ১৬-এ থাকতে পারে ক্যাপচার বাটন, সলিড স্টেট বাটন, পেরিস্কোপ জুম লেন্স এবং এ সিরিজ চিপসেট। স্মার্টফোনের ডিজাইনেও বড় পরিবর্তন থাকতে পারে। ব্যাক ক্যামেরা সামান্য ভার্টিকালি রাখা হতে পারে সঙ্গে থাকবে একটি ক্যাপচার বাটন।
এই সিরিজে গোলাপি, হলুদ এবং কালো রংয়ের ফোন দেখা যেতে পারে। তবে প্রো মডেলে কী কী রং থাকবে তা এখনও জানা যায়নি। বড় বদল ফোনের ডিসপ্লেতেও। বর্তমানে আইফোন ১৫ প্রো-তে রয়েছে ৬.১ ইঞ্চি ডিসপ্লে, যেখানে আইফোন ১৬-তে থাকতে পারে ৬.৩ ইঞ্চির ডিসপ্লে।
অন্যদিকে আইফোন ১৫ প্রো ম্যাক্সে রয়েছে ৬.৭ ইঞ্চির ডিসপ্লে। সেখানে আইফোন ১৬ প্রো ম্যাক্স ৬.৯ ইঞ্চি ডিসপ্লের সঙ্গে আসতে পারে। যেহেতু সাইজে বড় হতে চলেছে তাই ওজনও বেশি হবে স্মার্টফোনের। নতুন সিরিজে মাইক্রো লেন্স প্রযুক্তি ব্যবহার করতে চলেছে অ্যাপেল যা ব্রাইটনেস এবং শক্তি খরচ কমাতে সাহায্য করবে।